নতুন বাজেট (budget 2022) নিয়ে জলঘোলা হওয়ার মাঝেই নিত্যদিনই একাধিক ক্ষেত্রে বাজেটের প্রাসঙ্গিকতার কথা তুলে ধরে ভিডিও বার্তা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২২ অর্থবর্ষের বাজেট কিভাবে ভারতীয় কৃষিক্ষেত্রকে (agriculture sector) মজবুত করতে সাহায্য করবে, তা নিয়ে এদিনও ভিডিওবার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৩ বছর আগে আজকের দিনেই ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছিল। আর আজকে সেই প্রকল্পই দেশের ক্ষুদ্র কৃষকদের বড় সম্বল রূপে প্রকট হয়েছে। প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের ১১ কোটি কৃষককে প্রায় পৌনে দু’লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী জানান, বিগত ৭ বছরে সরকার বীজ থেকে বাজার পর্যন্ত এমন অনেক নতুন ব্যবস্থা তৈরি করেছে যা পুরনো ব্যবস্থাগুলির উন্নতিকরণে সাহায্য করেছে। মাত্র ছ’বছরেই কৃষিক্ষেত্রে বাজেট বহুগুণ বেড়েছে বলে দাবী করেন প্রধানমন্ত্রী। ৭ বছরে কৃষি লোণও আড়াই গুণ বেড়ে গিয়েছে, ভিডিওবার্তায় দাবী প্রধানমন্ত্রীর।
প্রধানমন্ত্রী এও বলেন, নয়া বাজেটে কৃষিক্ষেত্রকে স্মার্ট এবং আধুনিক বানানোর জন্য সাতটি রাস্তার কথা বলা হয়েছে। সেগুলি হল, প্রথম – গঙ্গার দুই পাড়ের ৫ কিলোমিটার করে এলাকার মধ্যে ‘ন্যাচারাল ফার্মিং’ করার লক্ষ্য নিতে হবে। দ্বিতীয় – কৃষিক্ষেত্রের যাবতীয় আধুনিক প্রযুক্তিগুলি কৃষকদের উপলব্ধ করাতে হবে। তৃতীয় – ভোজ্য তেলের আমদানি কমানোর জন্য ‘মিশন অয়েল পাম’কে মজবুত করতে হবে। চতুর্থ – কৃষিজাত দ্রব্য পরিবহণের জন্য ‘পিএম গতিশক্তি’ প্রকল্প দ্বারা লজিস্টিক্সয়ের নতুন ব্যবস্থা তৈরি করতে হবে। পঞ্চম – ‘এগ্রি-বেস্ট ম্যানেজমেন্ট’কে আরও ভালোভাবে সাজাতে হবে। ষষ্ঠ – দেশের দেড় লাখেরও বেশি পোস্ট অফিসে ব্যাঙ্কের মতো সুবিধা প্রদান করা হবে। এবং সপ্তম – রিসার্চ এবং এডুকেশনের সাথে সংযুক্ত পাঠ্যক্রমে ‘স্কিল ডেভেলপমেন্ট’, ‘মানবসম্পদ উন্নয়ন’-এর মতো বিষয়গুলিকে আধুনিক সময় অনুসারে বদলানো হবে।
২০২৩ সালকে জাতিসঙ্ঘ ‘আন্তর্জাতিক মিলেট বর্ষ’ হিসাবে ঘোষণা করেছে। সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কর্পোরেট জগৎকে সামনে এগিয়ে এসে ভারতের মিলেট চাষকে প্রচার করার জন্য আবেদন জানান। কৃষিবর্জ্য প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নতুন বাজেটে কৃষিবর্জ্যের ব্যবস্থাপনায় এমন কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, যার ফলে একাধারে কার্বন ত্যাগও কম হবে, অন্যদিকে কৃষকদের আয়ও বৃদ্ধি পাবে। ভারতের সমবায় সেক্টরের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের যেকোনো বিষয়ে সমবায় সংস্থা যথেষ্ট অবদান রাখে। সেজন্য ভারত সরকার আলাদাভাবে একটি সমবায় মন্ত্রালয়ও নির্মাণ করেছে।