আরিয়ান খান মামলায় নতুন করে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন মুম্বাই এনসিবি আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। জন্ম শংসাপত্র তার নাম রয়েছে সমীর দাউদ ওয়াংখেড়ে। অন্যদিকে, ইউপিএসসি ফর্ম পূরণের সময় তিনি তার নাম লিখেছিলেন সমীর ধ্যানদেব ওয়াংখেড়ে। এনসিবি কর্তার এই নাম বিভ্রাটে রীতিমতো বিতর্ক শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে। নবাব মালিক এনসিবির জোনাল কর্তার এই জন্ম পরিচয় সামনে নিয়ে এসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, সমীর ওয়াংখেড়ে দুই জায়গায় দুটো নাম ব্যবহার করছেন।
তার সাথে সাথেই মালিক আক্রমণ করেছেন, 'প্রায়শই মালদ্বীপ এবং দুবাইয়ে যান ওয়াংখেড়ে, তার কারণটা কি?' তারপর থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। সুশান্ত সিং রাজপুত কাণ্ডের পরে ওয়াংখেড়েকে জোনাল কর্তা হিসেবে নিয়োগ করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। মালিক অভিযোগ করেছেন, তাকে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে শুধুমাত্র যেনতেন প্রকারে বলিউডকে বিপাকে ফেলার জন্য। যদিও নিজেকে বহুত্ববাদী বিশ্বাসী একটি পরিবারের সন্তান হিসেবে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। তিনি জানিয়েছেন, "আমার বাবা হিন্দু এবং মা মুসলিম। আমার বাবা ধ্যানদেব ওয়াংখেড়ে রাজ্য আবগারি দপ্তরের একজন সিনিয়র ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন। অন্যদিকে আমার মা প্রয়াত জাহিদা একজন মুসলিম মহিলা। আমি সেই পরিবারের একজন সন্তান যারা বহুত্ববাদ এবং ধর্মনিরপেক্ষ ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অংশ। আমি গর্বিত আমার ঐতিহ্য নিয়ে।"
তারপরেই মহারাষ্ট্রের এই নেতার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সমীর। তিনি বলছেন, "আমাকে কলুষিত করতে আমার পরিবারের ভাবমূর্তি নষ্ট করা হচ্ছে। কোন কারণ ছাড়া পারিবারিক ব্যক্তি পরিসরে অনুপ্রবেশ করা হয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্যে আমার অত্যন্ত ব্যক্তিগত তথ্য সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করে দেওয়া হয়েছে এবং এটা আমার কাছে অত্যন্ত অপমানজনক। আমি চাই এটার বিরুদ্ধে একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক। আমার মনে হচ্ছে, কেউ একজন অসৎ উদ্দেশ্যে আমাকে গ্রেফতার করার পরিকল্পনা করছে। আদালত অবিলম্বে সক্রিয় হয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।"