২০২২ অর্থবর্ষের (budget 2022) বাজেটে দেশের বিভিন্ন স্তম্ভকে কিভাবে মজবুত করবে, তা নিয়ে প্রতিদিন ভিডিওবার্তা দিচ্ছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এদিন দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগের (defence sector) প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী জানান, নতুন বাজেট কিভাবে আত্মনির্ভর বানাবে দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভকে।
ভিডিওবার্তার শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রতিরক্ষা বিভাগের সম্পর্কে বলেন, ‘পরাধীন থাকার সময় এমনকি স্বাধীনতার পূর্বলগ্নেও দেশের সামরিক উৎপাদন নজরকাড়া ছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতের তৈরি অস্ত্র একটি বড় ভুমিকা পালন করে। তবে পরবর্তী বছরগুলিতে আমাদের এই শক্তি ক্রমশ ক্ষয় হতে শুরু করে। তবে সেসময়েও ভারতের ক্ষমতা এতটুকুও কমেনি’।
বাজেট প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘এই বছরের বাজেটে দেশের ভিতরেই সামরিক উপাদানের রিসার্চ, ডিজাইন এবং উন্নতিকরন থেকে শুরু করে উৎপাদন পর্যন্ত একটি স্পন্দনশীল পরিবেশ তৈরি করার ব্লু-প্রিন্ট বানানো হয়েছে। প্রতিরক্ষা বাজেটের ৭০ শতাংশ কেবলমাত্র ঘরোয়া শিল্পক্ষেত্রগুলির জন্যই বরাদ্দ করা হয়েছে’।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘যখন আমরা বাইরে থেকে অস্ত্রশস্ত্র আনি, তার প্রক্রিয়া এতই দীর্ঘ হয় যে সেগুলি দেশে আসতে আসতেই অচল হয়ে পড়ে। এর সমাধানও ‘আত্মনির্ভর ভারত’ এবং ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র মধ্যেই রয়েছে। ভারতের আইটি সংস্থার মধ্যে যে ক্ষমতা রয়েছে, তার সামর্থ্য অনেক বেশি। এই ক্ষমতাকে আমরা যত বেশি প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারব, ততই আমাদের সুরক্ষা নিরাপদ হবে’। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন, ‘সাইবার সিকিউরিটি’ এখন কেবলমাত্র ডিজিটাল জগতেই সীমাবদ্ধ নেই। তা এখন প্রতিটি রাষ্ট্রের সুরক্ষার বিষয় রূপে বিবেচিত হচ্ছে।
অন্তর্দেশীয় সুরক্ষাসামগ্রী এবং তার সঙ্গে জুড়ে থাকা শিল্পক্ষেত্রগুলির প্রশংসাও শোনা গেল এদিন প্রধানম্নত্রির মুখে। তিনি বলেন, ‘কেবলমাত্র বিগত বছরেই ৭টি নতুন ডিফেন্স পাবলিক আন্ডারটেকিংয়ের স্থাপনা করা হয়েছে। সেগুলি আজ দ্রুততার সঙ্গে তাদের বানিজ্য বিস্তার করছে। বিগত ৫-৬ বছরে প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রপ্তানি ৬ গুণ বেড়ে গিয়েছে। আজ ভারত ৭৫টিরও বেশি দেশে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’ প্রতিরক্ষা সামগ্রীর রপ্তানি করছে’।
আগের সরকারের সাথে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রতিরক্ষা সামগ্রী উৎপাদনের জন্য কেবলমাত্র ২০০ টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল লাইসেন্স জারি করা হয়েছিল, সেখানে বিগত ৭ সালেই ৩৫০ টিরও বেশি লাইসেন্স জারি করা হয়েছে’। তিনি আরও জানান, ‘স্পন্দনশীল প্রতিরক্ষা বিভাগের বিকাশের জন্য ট্রায়াল, টেস্টিং এবং সার্টিফিকেশনের ব্যবস্থাকে স্বচ্ছ, দ্রুত এবং পক্ষপাতবিহীন করা সর্বাগ্রে প্রয়োজনীয়’।