রেকর্ড ভেঙেছে চলতি বছরের গরম। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে বইছে তাপপ্রবাহ। ব্যাপক তাপমাত্রায় নাকাল হচ্ছেন আমজনতা। বিশ্ব উষ্ণায়নের জেরেই কি আবহাওয়ার এই দশা? কেউ সম্মতি জানাচ্ছেন, কেউ আবার দোষ দিচ্ছেন পরিবেশ দূষণকে। তবে, নানা মুনির নানা মত থাকলেও গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে সকলকেই। কীভাবে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়, তার উপায় ভাবতে শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার এই নিয়ে প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী।
চলতি সপ্তাহে ইউরোপ সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনদিনের সফর শেষে গতকাল তিনি ফিরেছেন দেশে। আর এসেই কমপক্ষে ৭-৮ টি বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। একেই ১২২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে তাপপ্রবাহ। তদুপরি তীব্র গরমের মধ্যে বিদ্যুতের ঘনঘন বিভ্রাট নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। সেই পরিস্থিতি থেকে মুখ বাঁচাতে ইতিমধ্যেই উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্র। তাই দ্রুত উপায় খুঁজতে মরিয়া মোদী সরকার।
ইতিমধ্যেই দীর্ঘস্থায়ী এবং ঘন ঘন তাপপ্রবাহে এপ্রিল মাসে পশ্চিম রাজস্থান, পূর্ব উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিম মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের বিদর্ভের দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে পৌঁছে গিয়েছে। বৃষ্টির নামগন্ধ নেই কোত্থাও। তবু গতকাল দিল্লিতে শিলাবৃষ্টি হয়ে খানিক স্বস্তি ঝড়েছে। অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশে ধর্মশালার পাশের জঙ্গল পুড়ে খাঁক দাবানলে। বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই সেখানে। সবমিলিয়ে গরমের কারণ আর আসন্ন বর্ষার প্রস্তুতি নিয়েই আলোচনা হবে বৈঠকে।