নতুন মন্ত্রিসভার শপথ গ্রহণের পর থেকেই মোদি সরকার আবারো করোনা ভাইরাস মোকাবিলার ক্ষেত্রে নতুন নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করেছে। প্রথম বৈঠকের পর এই অতিমারী মোকাবিলায় ঘোষণা করা হয়েছে ২৩,১২৩ কোটি টাকা আপৎকালীন প্যাকেজ, যে ঘোষণা থেকে পরিষ্কার হচ্ছে প্রথমে করোনা মোকাবিলাকে লক্ষ্য করে এগোতে চাইছে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি সরকার। এই নতুন প্যাকেজের ঘোষণা করেন নতুন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য। আগের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের পদত্যাগের পরে নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মনসুখ মান্ডব্য। কিন্তু বিরোধীরা আবার এই নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিকে সরাসরি কটাক্ষ্য করতে শুরু করেছেন।
তাদের দাবি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হয়েছেন। এবং তার ব্যর্থতা যেহেতু তিনি নিজের ঘাড়ে নিতে পছন্দ করেন না তাই তিনি সরাসরি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের উপর সমস্ত দোষ ঠেলে দিয়ে তাকে সরিয়ে দিয়েছেন। যদিও বিজেপির তরফ থেকে, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ রূপে খন্ডন করা হয়েছে এবং জানানো হয়েছে হর্ষবর্ধনের সময় বেশ কিছু সমস্যা ছিল এবং সেই কারণে থেকে স্বাস্থ্য মন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হয়েছে। প্রথম বৈঠকের পর এই করোনাভাইরাস এর জন্য নতুন প্যাকেজ ঘোষণা করল মোদির মন্ত্রিসভা। আর সেই ব্যবস্থাপনা দেখে বোঝা যাচ্ছে এবারে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় আরো বড় বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার।
যদিও এপ্রিল মাসে করোনাভাইরাস এর দ্বিতীয় ঢেউ আসার পর থেকে দেশে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এই দেশ দেখেছে হাসপাতালের বেড এর অভাব, আবার দেখেছে সারাদেশে অক্সিজেনের ঘাটতি। পরিস্থিতি ধীরে ধীরে আরো খারাপ হতে শুরু করেছিল যার ফলে সরাসরি বিতরকের মুখে পড়েছিল মোদি সরকার। শুধু দেশে নয় বিদেশেও প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ইমেজ একেবারে খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেই হারানো ইমেজ আবারো ফিরিয়ে আনার জন্য বর্তমানে মরিয়া হয়ে উঠেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দেশে বর্তমানে পরিসংখ্যান লাগাতার ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, বেশি করোনাভাইরাস এর গ্রাফ ধীরে ধীরে নিচে নামছে। মোটামুটি ৫০ হাজারের কাছাকাছি জায়গায় বর্তমানে দৈনিক করোনাভাইরাস কেস ঘোরাফেরা করছে। এরকম পরিস্থিতিতে, মোদি সরকারের তরফ থেকে নতুন করোনা প্যাকেজ ভারতের জন্য কতটা লাভবান হবে এখন সেটাই দেখার। যদিও বুধবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধনের ইস্তফার পরে বিরোধী নেতা পি চিদাম্বরম সরাসরি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললেন, " এইসব ইস্তফা থেকে মন্ত্রীদের কিছু জিনিস শেখা উচিত। যদি সবকিছু ঠিকঠাক চলে তাহলে কৃতিত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী, আর যদি প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে ব্যর্থতার দায় নিতে হবে সেই মন্ত্রীকে।"