সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট (budget) পেশ হওয়ার পরেই দেশজুড়ে দু’দিক দিয়েই বইছে প্রশংসা এবং সমালোচনার ঝড়। আর তার মাঝেই প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তায় বাজেট সম্বন্ধে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন। এদিনের বাজেটকে টুইটারে (twitter) হ্যাশট্যাগ দিয়ে ‘আত্মনির্ভরভারতকাবাজেট’ও (#AtmanirbharBharatKaBudget) লিখতে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। কিন্তু বাজেট বিষয়ে এদিন কি বললেন নমো?
বক্তব্যের শুরুতেই এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিগত ১০০ বছরের ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যেই এই বাজেট বিকাশের নতুন বিশ্বাস নিয়ে হাজির হয়েছে। এই বাজেট অর্থব্যবস্থাকে মজবুত করার পাশাপাশি সাধারণ দেশবাসীর জন্য অনেক নতুন উপায় খুঁজে বার করবে’।
প্রধানমন্ত্রীর কথায়, ‘আরও অনেক পরিকাঠামো, আরও বেশি বিনিয়োগ, বৃদ্ধি এবং নতুন কর্মসংস্থানের সম্ভাবনায় ভরপুর এই বাজেট’। এই বাজেটের ফলে ‘গ্রিন জব’-এর (green job) ক্ষেত্রও উন্মুক্ত হবে বলেই দাবী প্রধানমন্ত্রীর।
২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেটের প্রশংসা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘এই বাজেটের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল – গরীবের কল্যাণ। প্রতিটি গরীবের কাছে পাকা বাড়ি থাকুক, তাঁদের বাড়িতে কলের জল আসুক, তাঁদের বাড়িতে শৌচালয়, গ্যাসের সুবিধা থাকুক, এইসব বিষয়েই বিশেষভাবে নজর রাখা হয়েছে এই বাজেটে’। তার পাশাপাশি আধুনিক ইন্টারনেট সংযোগের উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে বলে এদিন বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী।
পাহাড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য শুরু হচ্ছে ‘পর্বতমালা যোজনা’। সে বিষয়ে এদিন বলতে শোনা যায় প্রধানমন্ত্রীকে। বলেন, ‘হিমাচল, উত্তরাখণ্ড, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো স্থানগুলিতে দেশের মধ্যে প্রথমবারের জন্য পর্বতমালা যোজনা শুরু করা হচ্ছে। এই যোজনা পাহাড়ে যাতায়াতের জন্য আধুনিক ব্যবস্থার নির্মাণ করবে’।
বাজেটের নদীকেন্দ্রিক ঘোষণার প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোটি কোটি ভারতবাসীর আস্থা, মা গঙ্গার বিশুদ্ধিকরণের পাশাপাশি কৃষককল্যাণেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে’। উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ, এই পাঁচ রাজ্যে গঙ্গা নদীর তীরে প্রাকৃতিক কৃষিকাজ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হবে বলেই জানান প্রধানমন্ত্রী। সেইসাথে দেশের প্রতিরক্ষা বাজেটের ৬৮ শতাংশ দেশীয় শিল্পক্ষেত্রের পিছনে ব্যায় করার মাধ্যমে যে দেশের ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পকে বাহবা দেওয়া হবে, সে কথাও নিজের বক্তব্যে প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। সবশেষে সাম্প্রতিক বাজেটকে ‘মানুষের বন্ধুত্বপূর্ণ’ এবং ‘প্রগতিশীল’ আখ্যা দিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এবং তাঁর দলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনও করেন প্রধানমন্ত্রী।
 
  
 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
                 
     
     
     
     
     
     
     
     
     
     
    