বেড়েই চলেছে জ্বালানীর দাম, যার জেরে নাস্তানাবুদ গোটা দেশ। আর এরই মধ্যে কলকাতাবাসীকে কার্যত শক দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। জানালেন, কলকাতার মানুষকে বোকা বানিয়ে বেশী দামে পেট্রোল বেচা হচ্ছে। আজ, বুধবার মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কোভিডের চতুর্থ ঢেউয়ের শঙ্কা নিয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই উঠে আসে হালফিলের আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি, অর্থনীতি, মূল্যবৃদ্ধির কথা। সেখানেই পেট্রোপন্যের আন্তঃশুল্ক নিয়ে কথা ওঠে। মোদি জানান, "বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে ভ্যাট কমানো হলেও দাম কমেনি মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড সহ অবিজেপি শাসিত রাজ্যে। যার ফলে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এরপরই তিনি দাম উল্লেখ করে বলেন, লখনৌতে পেট্রোলের দাম ১০৫ টাকা কিন্তু কলকাতায় প্রতি লিটার পেট্রোল বিক্রি হচ্ছে ১১৫ টাকায়।"
মোদির কথায়, "দেশবাসীকে সুবিধা দিতে গত নভেম্বর মাসে আন্তঃশুল্ক কমিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তখনই রাজ্যগুলিকে অনুরোধ করা হয়েছিল, তারাও যেন কর কমায়। কিন্তু কিছু রাজ্য কেন্দ্রের সেই কথা শুনে ভ্যাট কমালেও অনেক রাজ্যই তা করেনি। কোনও না কোনও কারণ দেখানো হয়েছে। এখন সেই সব রাজ্যকে অনুরোধ করছি গত ছ’মাস আগেই যেটা করার ছিল সেটা এখন করে মানুষের সুবিধা করে দেওয়া হোক।" এরপরই রাজ্যকে কেন্দ্রের সাথে একযোগে চলার বার্তা দিয়ে মোদি বলেন, "ভারত সরকার রাজস্বের ৪২ শতাংশই দেয় রাজ্যগুলিকে। বিশ্বজুড়ে যে সঙ্কট চলছে তাতে সহযোগিতামূলক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো থাকা প্রয়োজন। কেন্দ্র কর কমানোর পরে রাজ্যগুলিও সেই পথে হাঁটলে মানুষের সুরাহা হবে। দেশের উপকার হবে।"
এদিন মোদির গলায় অনুরোধের সুর থাকলেও গলায় ছিল টন্ট করার উদ্দেশ্য। তিনি কথার মাধ্যমে এও ইঙ্গিত দেন যে, রাজ্যগুলি নিজেদের স্বার্থে ভ্যাট কমাতে চাইছে না কারণ শুল্ক কমলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে রাজ্যগুলিকে। তিনি কথার মাধ্যমে সবটা বুঝিয়ে দেন এভাবেই। মোদি বলেন, "আমি এটা বুঝতে পারি যে পেট্রল, ডিজেলের কর কমালে রাজস্ব আদায় কমে। কর কমানোর ফলে কর্নাটক সরকারের সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় কমেছে। গুজরাতের রাজস্ব আদায় কমেছে সাড়ে তিন থেকে চার হাজার কোটি টাকা। কিন্তু দেখা গিয়েছে কর্নাটক বা গুজরাতের পাশের রাজ্যগুলি কর না কমিয়ে গত ছ’মাস ধরে অতিরিক্ত রাজস্ব আদায় করেছে।"