সংসদের চলতি বাদল অধিবেশনে (Monsoon Session) সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয় পেগাসাস (Pegasus Report)। বিরোধীদের অভিযোগ, পেগাসাস আলোচনায় সরকার অনুমতি দিচ্ছে না। বারবার তাদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে। এদিকে পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়ালয়ে ৯ টি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এই মামলাগুলির শুনানি হয়। মামলাগুলি শোনেন প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা এবং বিচারপতি সূর্য কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার প্রেক্ষিতে জানিয়েছে, পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট যদি সত্যি হয়, তাহলে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি এনভি রমানা এ-ও বলেছেন, কিছু অভিযোগে বলা হয়েছে তাঁদের ফোন ট্যাপ করা হয়েছিল। তাহলে সেই সকল অভিযোগকারী তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী মামলা দায়ের করেননি কেন? এমন প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান বিচারপতি। তিনি আরও বলেছেন, ২০১৯ সালে এই রিপোর্ট প্রথম প্রকাশ্যে আসে, তাহলে এতদিন কেন অভিযোগ করা হয়নি? যাঁরা এখন অভিযোগ করেছেন, তাঁরা চাইলে আগেই অভিযোগ জানাতে পারতেন, কারণ বর্তমান অভিযোগকারীদের অধিকাংশই যথেষ্ট প্রভাবশালী ব্যক্তি। পাশাপাশি সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে, বিষয়টি পরিষ্কার হওয়া প্রয়োজন। ফোনে আড়িপাতা নিয়ে বিরোধীরা যে অভিযোগ করছেন, কেন্দ্রকে তা শুনতে হবে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে আগামী মঙ্গলবার।
উল্লেখ্য, পেগাসাস মামলা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংসদের বাদল অধিবেশনে তুলকালাম কাণ্ড চলছে বিরোধী শিবিরে। রোজদিন বিরোধীদের কেন্দ্রের কোপের মুখে পড়তে হচ্ছে। বিরোধীদের অভিযোগ তাঁদের কথা শোনা হচ্ছে না। এমনকী পেগাসাস বললেই নাকি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সাংসদদের মাইক্রোফোন। পাশাপাশি বিরোধীদের আরও অভিযোগ আলোচনা ছাড়াই মিনিটে মিনিটে সব বিল পাশ হয়ে যাচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন সংসদে বিল পাশের সঙ্গে 'পাপড়ি চাট' বিক্রির তুলনা করেছেন। এদিন সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশে পেগাসাস নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য এবার কেন্দ্র শুনবে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।