বর্তমানে ভারতের সবথেকে চেনা শব্দগুলোর মধ্যে একটি হয়ে উঠেছে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত। দিল্লি জাহাঙ্গীরপুরি থেকে শুরু করে কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক, সবকিছুতেই আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে মানুষের ধর্মীয় ভাবাবেগ। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন রাজ্যে হনুমান জয়ন্তীর দিন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের উপর চালানো হামলার ক্ষত এখনো অনেকের মনেই দগদগে। কিন্তু এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই একেবারে অন্য কিছুর সাক্ষী রইল রাঁচি-হাওড়া শতাব্দী এক্সপ্রেস। চলন্ত ট্রেনে মুসলিম ধর্মাবলম্বী এক যাত্রীর জন্য ইফতারের বন্দোবস্ত করলেন রেলের কর্মীরাই। টুইটারে ওই ব্যক্তি নিজেই এই ঘটনা সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন। এছাড়াও, পূর্ব রেলওয়ের ব্যবহারে তিনি যে অত্যন্ত আপ্লুত সেই কথা জানাতে ভুললেন না ঐ যাত্রী। নেটিজেনদের কাছে এই পোস্ট ইতিমধ্যেই অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে এবং অনেকেই কমেন্ট করেছেন, এটাই হল আসল ভারতবর্ষ।
জানা গিয়েছে, শতাব্দি এক্সপ্রেসের ওই যাত্রীর নাম শাহনওয়াজ আখতার এবং তিনি এইদিন ধানবাদ থেকে হাওড়ার শতাব্দী এক্সপ্রেসে চেপেছিলেন। সন্ধ্যে নাগাদ নিয়মমতো রেলের কর্মীরা চা এবং জলখাবার সার্ভ করছিল। জল খাবার গ্রহণের আহ্বান জানানো হয় শাহনাওয়াজকেও। কিন্তু তিনি জানান, তিনি রোজা রেখেছেন এবং সেই কারণে তিনি জল খাবার গ্রহণ করতে পারবেন না। সেই কথা শুনেই তার রোজা ভাঙার সময় তাঁর জন্য উপযুক্ত খাবারের বন্দোবস্ত করেন রেলকর্মীরাই।
এই ঘটনায় অত্যন্ত আপ্লুত হন ওই ব্যক্তি। সেই কথা নিজেই টুইটারে ভাগ করে নিয়েছেন ওই ব্যক্তি। সঙ্গেই দিলেন সেই খাবারের ছবি। তিনি তাঁর পোষ্টের নিচে লিখলেন, "ইফতারের জন্য ধন্যবাদ ভারতীয় রেলকে। আমি ধানবাদ থেকে হাওড়াগামী শতাব্দী এক্সপ্রেসে উঠেছিলাম। আমাকে জলখাবার দেওয়া হচ্ছিল। প্যান্ট্রির কর্মীকে অনুরোধ করি, যেহেতু রোজা রেখেছি, তাই একটু দেরিতে চা দেওয়া হোক আমাকে। তিনি জিজ্ঞাসা করেন, ‘আপ রোজা হ্যায়?’ আমি মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলি। পরে আমার জন্যে ইফতারের খাবার পাঠানো হয়।" শাহনওয়াজের এই টুইটকে রিটুইট করেন রেল প্রতিমন্ত্রী দর্শনা জার্দস।