প্রত্যেক পরিবার থেকে কমপক্ষে একজনকে দিল্লির কৃষক আন্দোলনে যেতেই হবে এবং থাকতে হবে নূন্যতম সাতদিন। কোনো পরিবার বা পরিবারের সদস্য তা করতে অসম্মত হলে দেড় হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। আর এর কোনোটিতেই রাজি না হলে সরাসরি ওই ব্যক্তি ও তার পরিবারকে সামাজিকভাবে বয়কট হবে। শুক্রবার স্বরাজ দলের নেতা সমস্ত কৃষক পরিবারকে এই আন্দোলনে যোগ দেওয়ার ডাক দেন। আর ঠিক অব্যবহিত পরেই পাঞ্জাবের ভাতিন্ডার পঞ্চায়েত থেকে এমন বিতর্কিত ফরমান জারি করায় হইচই পড়েছে রাজ্য তথা দেশ জুড়ে।
লালকেল্লায় প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনের হিংসাত্মক ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৩৮ টি এফআইআর সহ গ্রেফতার করা হয়েছে ৮৪ জন বিক্ষোভকারীকে। এখনো দিল্লির সীমান্ত, হরিয়ানার আম্বালা, কার্ণাল, কুরুক্ষেত্র, যমুনা নগর প্রভৃতি এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। তারই মাঝে এই ধরণের ফতোয়া জারি নিয়ে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে নানা মহল থেকে, আন্দোলনের প্রতি সন্দেহের বীজ আরও স্পষ্ট হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি অবশ্য কৃষকদের সমর্থনে অনড়। গাজীপুরে পুলিশ পিছু হটায় আবার ভিড় বেড়েছে আন্দোলনে, তবে এই উপায়ে জোরজুলুম করে ভয় দেখিয়ে ভিড় বাড়ানো নিয়ে অশান্ত দু-পক্ষই।