রাজ্যে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনার (Corona) গ্রাফ। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে ৬২৮ জন কোভিড (Covid-19)-এ আক্রান্ত হয়েছে। রাজ্যে কোভিডের পজিটিভ রেট ( Positive Rate) বৃদ্ধি পেয়েছে দাঁড়িয়েছে ১.৬৪ %। তেমনভাবে পাল্লা দিয়ে দেশেও বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতি যথেষ্টই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। সরকারও যথেষ্ট চিন্তিত বিষয়টি নিয়ে। তার মধ্যেই সদ্য ব্রিটেন থেকে আগত এক তরুণীর পজিটিভ করোনা ( Corona Virus) রিপোর্ট মিলেছে। তবে এই তরুণী করোনার নতুন সংযোজন ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা সে সম্পর্কে জানা যায়নি এখনও পর্যন্ত।
ওমিক্রনের দ্বারা সৃষ্ট পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের আওতাভুক্ত স্বরাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন ( National Technical Advisory Group on Immunization) এবং জাতীয় বিশেষজ্ঞ গ্রুপ (National Expert Group)-এর সাথে সংযুক্ত ভাবে ভাইরাসের রূপকের মোকাবিলায় ভারতে বুস্টার ডোজগুলির প্রয়োজনীয়তা মূল্যায়ন করার বিষয়ে সুপারিশ করেছে।
শুক্রবার লোকসভার (Lok Sabha) রিপোর্ট টেবিলে বলা হয়েছে - কমিটি জানতে চায় যে আইসিএমআর এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের দ্বারা বিভিন্ন ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা সম্পর্কে কোনও গবেষণা করা হয়েছে কিনা, যার দ্বারা দেশ ভাইরাসের বিভিন্ন রূপের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে রাজ্যগুলিকে কোভিডের পরিকাঠামো যেমন পরীক্ষার সুবিধা, আইসিইউ শয্যা এবং মেডিকেল অক্সিজেনের পরিমাণ না কমানোর পরামর্শ দিয়েছে। কারণ এই নতুন ভাইরাসটি পরবর্তীতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গের(Third wave)জন্ম দিতে পারে। এর বিরুদ্ধে দেশকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
এমনকি দেশের জনগনের মধ্যে হাসপাতালের শয্যার যথাযথ দাম, প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী ওষুধের কালোবাজারি বন্ধ এবং হাসপাতালের বেড বিক্রি বন্ধ করার জন্য একটি মনিটরিং ব্যবস্থা তৈরি করার কথা বলেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রক।এমনকি করোনার তৃতীয় তরঙ্গ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ এবং মহামারী বিশেষজ্ঞদের বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বাণী দ্বারা যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে না পারে সেই দিকেও নজর রাখছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রক। শুধু তাই নয় এই কোভিড বিষয়ে বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে বুলেটিন জারি করার কথাও ভাবা হচ্ছে।