চলতি বছরের শুরু থেকেই গোটা বিশ্বজুড়ে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হতেই অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে অতিমারির প্রকোপ। কিছুদিন আগেই ভারত ডেল্টার বিভীষিকা কাটিয়ে সাধারণ ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু চলতি সপ্তাহের শেষের দিকে গোটা বিশ্বে খবরের শিরোনামে এসেছে ওমিক্রন নামক নয়া কোভিড ভেরিয়েন্ট। দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের একাধিক দেশে হানা দিয়েছে করোনার এই নয়া স্ট্রেন। এই ভেরিয়েন্ট প্রকাশ্যে আসতেই আগেভাগে সাবধান হতে শুরু করেছে গোটা বিশ্ব। ইতিমধ্যেই ভারত সরকার দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বেশ কিছু দেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য কড়া বিধি-নিষেধ চালু করেছে। তবে আজ ব্যাঙ্গালুরুর কেম্পেগৌদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দুই দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসতে নতুন ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যেই বেঙ্গালুরু গ্রামীণ ডেপুটি কমিশনার কে শ্রীনিবাস জানিয়েছেন, "ওই দুই দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যক্তির সংক্রমণ ওমিক্রনের নাকি তা যাচাই করার জন্য পরীক্ষা করা অবশ্যক। তাই তাঁদের পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল আসতে আরও ৪৮ ঘন্টা সময় লাগবে। রিপোর্ট এলেই বোঝা যাবে ভারতের মাটিতে ছোঁয়া লেগেছে কি ওমিক্রনের? ইতিমধ্যেই ১০ টি অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দেশ থেকে ভারতে ৫৮৪ জন মানুষ এসেছেন। শুধুমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আসা মানুষের সংখ্যা ৯৪ জন।" অন্যদিকে বেঙ্গালুরু স্বাস্থ্য বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, "উভয় দক্ষিণ আফ্রিকান নাগরিককে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের পরীক্ষার ফলাফলে নতুন রূপটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা সেখানেই থাকবে।"
ওমিক্রন ত্রাস আটকানোর জন্য শনিবার দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জরুরী ভিত্তিতে শীর্ষ সরকারি আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব পিকে মিশ্র, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ, নীতি আয়োগ এর সদস্য ভিকে পাল, মন্ত্রিপরিষদ সচিব রাজিব গৌবা প্রমুখরা। সেই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, "ভারতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট গোটা বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম শনাক্ত হওয়া এই স্ট্রেন নিয়ে সাবধান না হলে তা গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়তে পারে।"