গোটা বিশ্বের কাছে নতুন আতঙ্ক ওমিক্রন (Omicron)। উৎসস্থল দক্ষিণ আফ্রিকা (South Africa) থেকে ধীরে ধীরে বিশ্বের অসংখ্য দেশেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে করোনার এই নয়া প্রজাতি। এসেছে এদেশেও। দিন কয়েকের মধ্যেই কয়েকটি রাজ্যেই বিদেশ থেকে ফেরত ব্যক্তিদের শরীরের নমুনা পরীক্ষায় মিলেছে ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ। তবে আশার কথা দেশে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত সুস্থ হয়েছেন। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর।
দেশে প্রথম ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছিলেন বছর ৩৩-এর একজন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। তিনি মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। প্রথম ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে বর্তমানে তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে বাড়িতে ৭ দিন নিভৃতবাসে থাকতে হবে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে হু হু করে বাড়ছে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের ইউরোপের দেশগুলিতে ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত আশার বাণী ওমিক্রনে মৃত্যু হার তুলনায় কম। তবে ডেল্টা যেভাবে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল, ওমিক্রন কোন পর্যায়ে পৌঁছাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেই ইতিমধ্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। তাই ডেল্টার মতো এতটা সংক্রামক হতে পারে না ওমিক্রন, বলছেন একাংশ। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ওমিক্রন কী পর্যায়ে পৌঁছাবে তা স্পষ্ট নয়। আরও সতর্ক পদক্ষেপে এগোনোর পরামর্শ দিয়েছে হু।