মোদি জামানায় ভারতে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি এবার নতুন রেকর্ড স্পর্শ করল। গত সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১০.৬৬ শতাংশে। তবে ভারতে পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি অক্টোবরে ১২.৫৪ শতাংশে পৌঁছেছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী গত ৫ মাসের মধ্যে অক্টোবর মাসেই মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ সর্বোচ্চ বলে জানা গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই পাইকারি মুদ্রাস্ফীতির পিছনে মূল দুই কারণ হল জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং উৎপাদনমূল্য বৃদ্ধি। বাণিজ্যমন্ত্রকের তরফে সম্প্রতি বলা হয়েছে, "অক্টোবরে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। খনিজ তেল, সাধারণ ধাতু, প্রাকৃতিক গ্যাস, খাদ্যদ্রব্য, রাসায়নিক পণ্য, অপরিশোধিত তেল, প্লাস্টিক পণ্য, রবার, টেক্সটাইল ইত্যাদির মূল্য আগের মাসের তুলনায় বেড়েছে।"
সেপ্টেম্বর মাস এবং অক্টোবর মাসের মধ্যে তুলনা করে জানা গেছে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ এর মুদ্রাস্ফীতি সেপ্টেম্বরে যেখানে ছিল ২৪.৮১ শতাংশ, অক্টোবরে তা হয়েছে ৩৭.১৪ শতাংশের মতো। উৎপাদিত পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি সেপ্টেম্বরে যেখানে ছিল ১১.৪১ শতাংশ তা অক্টোবরে বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১২.০৪ শতাংশ। এছাড়া খাদ্যদ্রব্যের উপর মুদ্রাস্ফীতি অক্টোবরে বেড়ে হয়েছে ৩.০৬ শতাংশ যা সেপ্টেম্বরে ছিল মাত্র ১.১৪ শতাংশ। বিশেষ করে বাণিজ্যমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে যে খাদ্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির কারণে অক্টোবরে খুচরো মুদ্রাস্ফীতি প্রায় ৪.৪৮ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
এই প্রসঙ্গে রিজার্ভ ব্যাংক দ্বিমাসিক অর্থনৈতিক নীতি অবলম্বনে নির্ণয় করেছে। এতে ভোক্ত মূল্যসূচক বা খুচরো মুদ্রাস্ফীতিকে ৪ শতাংশে রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এটি ২ শতাংশ পর্যন্ত সংশোধিত হতে পারে। ২০২১-২২ সালের সিপিআই মুদ্রাস্ফীতি ৫.৩ শতাংশ অবধি হতে পারে। অনুমান অনুযায়ী দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক, তৃতীয় ত্রৈমাসিক, চতুর্থ ত্রৈমাসিকে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ যথাক্রমে ৫.১ শতাংশ, ৪.৫ শতাংশ এবং ৫.৮ শতাংশ হতে পারে।