ফের বির্তকে খাবার ডেলিভারি সংস্থা জোম্যাটো। ঘটনার সূত্রপাত বেঙ্গালুরুতে। হঠাৎই সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয় একটি মেয়ের আর্তনাদ, যেখানে একটি মেয়েকে বলছে, তিনি সারাদিন ব্যস্ততার মধ্যে জোম্যাটো থেকে খাবার অর্ডার করেন। এরপর সেই খাবারকে কেন্দ্র করে ঝামেলা হয়, আর সেই ঝামেলার জেরেই তিনি আহত হন। কারণ, জোম্যাটো ডেলিভারি বয় নাকি তাঁর নাকে ঘুসি মেরেছে। কাজেই ওই মহিলা চাইছেন, তাঁর বানানো ভিডিওটি যেন ভাইরাল হয় আর ওই ডেলিভারি বয়কে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়।
বলাবাহুল্য, একজন মহিলার এমন আর্তনাদ নজর কাড়ে সকলের। আসল ঘটনার পরোয়া না করেই, ওই জোম্যাটো বয়ের উচিত শাস্তির দাবিতেই লক্ষাধিকবার শেয়ার হয় ওই ভিডিও। কিন্তু এতেই ছন্দপতন। ভিডিও পোস্ট করার দুদিন না যেতেই উঠে আসে নতুন তথ্য। অভিযুক্ত ডেলিভারি বয় কামরাজ দাবি করেন, ওই মহিলা খাবার অর্ডার করেন। এবং রাস্তায় ট্রাফিক থাকার দরুন খাবারটি পৌঁছে দিতে দেরি হয়। কাজেই, কামরাজ যখন খাবার ডেলিভারি করে তখন ওই মহিলা খাবার নিয়ে টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এবং বলেন, 'আপনি হয় আপনার খাবার নিয়ে যান, নয়তো আমাকে ফ্রিতে দিয়ে যান'। তবে ক্যাশ অন ডেলিভারির অর্ডার এভাবে বাতিল করা যায়না, তা তিনি ওই মহিলাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি তা না শুনেই ঝামেলা শুরু করে দেন। এরপরেই ওই মহিলা তাঁকে জুতো নিয়ে মারতে আসে। এবং মারতে শুরু করার পর তিনি আত্মরক্ষার্থে হাত দিয়ে প্রতিরোধ করেন, তাতে ওই মহিলার হাত ছিটকে গিয়ে নাকে লাগে। আঙুলে পরা আংটির ধাক্কায় নাক কেটে যায়।
আর এরপরেই ওই কেটে যাওয়া নাক নিয়ে ভিডিও করেন হিতেশা চন্দ্রানী নামে ওই মহিলা। এরপর কামরাজ ওই মহিলার অ্যাপার্টমেন্টের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার দাবি জানালে জানা যায়, ওই অ্যাপার্টমেন্টে সিসিটিভি নেই। আর এরপরেই দু-পক্ষের বয়ান শুনে তদন্তে নেমেছে সংস্থা। তবে জোম্যাটোর তরফে আপাতত বেতন সহ ছুটিতে রাখা হয়েছে কামরাজকে, এমনকি এই মামলার সমস্ত খরচের দায়ও নিয়েছে সংস্থা।
এ বিষয়ে জ্যোমাটো জানিয়েছে, "কামরাজ ৫ হাজারের কাছাকাছি খাবার সরবরাহ করেছেন। কেউ তাঁর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ কখনও করেননি। কাজেই দু’পক্ষের বয়ান শুনে ঘটনার পূর্ণ তদন্ত করা হচ্ছে।"
কামরাজের বয়ানের পরেই সরব হয়েছে গোটা সোশ্যাল মিডিয়া। যতদিন না ফের কামরাজকে সসম্মানে কাজে নিয়োগ করা হচ্ছে ততদিন জোম্যাটো বয়কটের ডাক দিয়েছে নেটিজেনরা।