রিরোধী রাজনৈতিক মহলের অনেকেরই দাবি ছিল, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের ওপর রাশ টানতে কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে দৈনিক সংবাদপত্র 'দৈনিক ভাস্কর'-এর একাধিক অফিসে হানা দিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। এরপর এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) নিশানা করলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সহ আরও অনেকেই।
তবে এ অভিযোগ মিথ্যে। উপযুক্ত অভিযোগ পেয়েই হানা দেওয়া হয়েছিল দৈনিক ভাস্কর নামের হিন্দি সংবাদপত্রের অফিসে। অন্তত তেমনটাই দাবি করছে আয়কর বিভাগ।
এদিন আয়কর বিভাগ দাবি করল, রাজনৈতিক অভিসন্ধিতে আয়কর হানার যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা ভুল। গত ছ’বছরে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা রোজগারের কর বিভিন্ন উপায়ে ফাঁকি দিয়ে এসেছে দৈনিক ভাস্কর। শুধু তাই নয়, স্টক মার্কেটের নিয়মে কারচুপি, অন্য সংস্থার মাধ্যমে লাভের অঙ্ক সরিয়ে ফেলার মতো তথ্যও প্রকাশ্যে এসেছে।
প্রসঙ্গত গত বৃহস্পতিবার আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ তুলে সেদিন দৈনিক ভাস্করের অন্তত ৩০-৩৫টি ঠিকানায় হানা দিয়েছিলেন আয়কর দপ্তরের আধিকারিকরা। দিল্লির পাশাপাশি মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রেও ভাস্করের বিভিন্ন অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। বিরোধীদের অভিযোগ ছিল, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় কেন্দ্র সরকারের সমালোচনায় সরব হওয়ার জেরেই সরকারের আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছে এই সংবাদমাধ্যমকে। তবে এই তথ্য ভুল। আশ্বস্ত করল আয়কর বিভাগ।