এনআরসি ওরফে ন্যাশনাল রেজিস্টার অফ সিটিজেনস নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় হয়ে রয়েছে। গত বছর থেকেই এই এনআরসি চালু করা নিয়ে বিশাল বিতর্ক হয়ে গিয়েছে সারাদেশে। বিভিন্ন বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করা হয়েছিল। এমনকি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে পথেও নেমেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর এই করোনাভাইরাস প্যানডেমিক এবং অন্যান্য বেশ কিছু কারণে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যায় এই এনআরসি-করণ। তবে মনে করা হয়েছিল, এবছরের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই এনআরসি নিয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মঙ্গলবার সেই সমস্ত জল্পনায় সম্পূর্ণরূপে জল ঢেলে দিলেন কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী নিত্যানন্দ রায়।
মঙ্গলবার তিনি লোকসভায় ঘোষণা করলেন, এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে এই সারাদেশব্যাপী এনআরসি নিয়ে কোনোরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। তিনি জানালেন, এই সিটিজেনশিপ অ্যামেন্ডমেন্ট আইন, ২০১৯ ওরফে সিএএ নিয়ে এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কোনরকম চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি। প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি, এই সিএএ আইনটি পাস করা হয়েছিল গত ২০১৯ এর ১২ ডিসেম্বর তারিখে এবং এই আইনটি নিয়ে কাজ শুরু হয় গত বছর ১০ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে
একটি লিখিত বয়ানে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, "এখনো এনআরসি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কোনো বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। জাতীয় স্তরে এখনো পর্যন্ত এই আইন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি কেন্দ্রীয় সরকার। তবে, আসামের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু আলাদা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আসামের পরিবারভিত্তিক সাপ্লিমেন্টারি এনআরসি তালিকা ইতিমধ্যেই ৩১ আগস্ট, ২০১৯ এ জমা করে দেওয়া হয়েছে।" তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ভারতীয় জনগণের ১৩.৩৮ শতাংশ বাইরে থাকছেন। তাই এখনো পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সরকার এনআরসি চালু করা নিয়ে তেমন কিছু ভাবছে না।