মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বিজেপি (BJP) সরকারের দুঃস্বপ্নের দুই নেতা-নেত্রী। এতদিন ধরে কেন্দ্র সরকারের বিরোধিতায় এককাট্টা হতে দেখা গেছে দুজনকে। এক মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুজনে দিয়েছেন বক্তৃতা কিংবা বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর একে অপরকে জানিয়েছেন শুভেচ্ছাবার্তা। তবে এবার সেই প্রিয় ‘দিদি’ এবং তাঁর দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা গেল ‘ভাই’ কেজরিওয়ালকে।
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে জয়ী হওয়ার পর থেকে অন্যান্য রাজ্যেও নিজেদের প্রভাব বিস্তারে উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। ত্রিপুরা (Tripura) থেকে গোয়া (Goa) অথবা মেঘালয় (Meghalaya), সব রাজ্যেই নিজেদের প্রতিনিধি পাঠানো থেকে শুরু করে বিপক্ষ দল থেকে নেতা-কর্মীদের ভাঙিয়ে আনা, কোনও প্রচেষ্টাই বাদ রাখেনি জোড়াফুল শিবির। গোয়াতেও একাধিক দল থেকে নেতা-কর্মীরা সম্প্রতি যোগদান করেছেন তৃণমূলে। তার মধ্যে রয়েছেন আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) থেকেও আগত একাধিকজন। আর জোড়াফুল শিবিরের এহেন কার্যকলাপে বেজায় অসন্তুষ্ট দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রী। যার জেরে গোয়াতে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে নিজের দলের পরিকল্পনা সাজাতে যাওয়া কেজরিওয়াল সাংবাদিক বৈঠকে সরাসরি বলেই দিলেন, “আপনারা তৃণমূল-কংগ্রেসকে একটু বাড়তিই গুরুত্ব দিচ্ছেন”। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেজরিওয়াল আরও জানান, বর্তমানে সে রাজ্যে (গোয়া) তৃণমূলের ভোট শেয়ার ১ শতাংশও নয়। তিনি বলেন, “মাত্র তিন মাস হল তৃণমূল গোয়ায় এসেছে। গনতন্ত্র এভাবে চলে না। পরিশ্রম করে, মানুষের মাঝে থেকে এগুলি অর্জন করতে হয়”। তাঁর কথাতেই ‘দিদি’ বিরোধিতা স্পষ্ট।
এদিন তিনি আরও বলেন, “আপনারা (সাংবাদিক) তৃণমূলকে গুরুত্ব দিতেই পারেন। তবে তাঁরা (তৃণমূল) শুরু থেকেই দৌড়ের বাইরে”। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘বড় দিদি’ আখ্যা দিয়ে এই কেজরিওয়ালই বলেছিলেন, “তিনি (মমতা) যদি আমার বিরুদ্ধেও ভোটে দাঁড়ান বা আমাকে চড়ও মারেন, তাহলেও আমি তাঁকে সম্মান করে যাব। আমি জানি না বিরোধী দলকে কে নেতৃত্ব দেবে, তবে আমি চাইব আমার দেশ যেন তার থেকে সুবিধা পায়”। তবে মাস যেতে না যেতেই ‘দিদি’র উদ্দেশ্যে অবস্থান বদলে সুর বদল ‘ভাই’য়ের।