আজ, সোমবার মূল্য বৃদ্ধির ইস্যুতে সংসদে ভাষণ দিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ভারতে মন্দা আসার প্রশ্নই ওঠে না। তার বক্তব্য অনুসারে, "ভারতের মন্দা বা মন্দার মধ্যে পড়ার কোন প্রশ্নই আসে না ব্লুমবার্গ সমীক্ষা অনুসারে ভারতের মন্দার সম্ভাবনা শূন্য।" কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর মতে ভারতের অর্থনীতি বেশিরভাগ দেশের চেয়ে ভালো এবং দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক দেশগুলির মধ্যে একটি। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরীর প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই বলেন তিনি।
নির্মল সীতারামনের কথায়, "সমীক্ষাটি আসলে তথ্যভিত্তিক আলোচনার পরিবর্তে রাজনৈতিক বিষয়ের উপর ছিল। প্রায় ৩০ জন সংসদ মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে কথা বলছেন। বেশিরভাগই ডেটা ভিত্তিক আলোচনা না করে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে ব্যস্ত।" তার সংযোজন, "আমি ভারতের জনগণকে সম্পূর্ণরূপে কৃতিত্ব দিই। আমরা প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পেরেছি এবং প্রগতিশীল এবং বর্ধীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করছি।" কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, "ইউপিএ সরকারের আমলে মুদ্রাস্ফীতির ৯ বার ডাবল ডিজিটে ছিল। ২২ মাস ধরে মুদ্রাস্ফীতি নয় শতাংশের ওপরে ছিল। যেখানে বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির হার সাত শতাংশেরও কম।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংসদের বর্ষাকালীন অধিবেশন যে সময় শুরু হয়েছিল তখন অর্থমন্ত্রী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন যার কারণে তিনি লোকসভায় উপস্থিত হতে পারেননি। মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিতর্কের জেরে বিরোধী দলগুলি অর্থমন্ত্রীর অনুপস্থিতিতে সংসদের কার্যক্রম স্থগিত রেখেছিল কয়েকদিন। এদিন সংসদে বিরোধীদের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, "আজ সকালে আমরা পুরো জুলাই মাসের জন্য জিএসটির সংগ্রহের ঘোষণা করেছি। ২০২২ সালের জুলাই মাসে জিএসটি পরিবর্তনের পর থেকে ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা ভর্তুকি এসেছে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।"
প্রসঙ্গত এর আগের দিন অধিবেশনের সময় বিরোধীরা বিজেপির জিএসটি পরিবর্তনকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, "কেন্দ্রীয় সংশোধন মূলক ব্যবস্থা না নিলে রান্নাঘরগুলি শীঘ্রই লকডাউন দেখতে পাবে।" কংগ্রেস নেতা মনীশ তিওয়ারী এদিন বিতর্কের সূত্রপাত করেন। তিনি বলেন, "সরকারের এই সিদ্ধান্ত দেশের ২৫ কোটি পরিবারকে চাপে ফেলেছে। ধনী এবং দরিদ্রের মধ্যে বিভাজন প্রশস্ত করেছে।" এদিন বিতর্ক এমন জায়গায় পৌঁছয় যে কংগ্রেস নেতারা সংসদ থেকে ওয়াক আউট পর্যন্ত করেন।