রবিবার কংগ্রেসকে আক্রমণ করে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন দাবি করেন বামপন্থী চরমপন্থীদের সাথে সম্পর্ক রেখে তারা দেশের ঐক্যের ক্ষতিসাধন করছে। তামিল সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন 'থুগলাক'-এর ৫২ তম বার্ষিক দিবস উদযাপনে ভাষণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, করোনা অতিমারী সত্বেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বদ্ধপরিকর বিজেপি। পাশাপাশি দেশের 'রুপান্তরমূলক পরিবর্তন' আনায় সচেষ্ট রয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
কংগ্রেসকে নিশানা করে তিনি বলেন, "এমনকি সেই সব জায়গায় যেখানে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী বা রাজীব গান্ধী পদচারণা করতেন... রাহুল গান্ধী গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ান। যারা বাম চরমপন্থী শক্তি ভাঙতে পারে তারা অবশ্যই অনুপস্থিত রাজনীতি করছে।" ঝাঁঝ বজায় রেখে তিনি আরও বলেন, "কংগ্রেস অনুপস্থিত রাজনীতিতে জড়িত এবং আমাদের যা দরকার তা হল কংগ্রেস-মুক্ত ভারত। কংগ্রেস বারংবার ভুল, দুর্নীতি, কেলেঙ্কারি করেছে।"
মার্কিন সফরের কথা উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, "বেশ কিছু শিল্পপতি ডিজিটাল পেমেন্ট সলিউশন, জাতীয় অর্থপ্রদানের সুবিধা, বার কোড রিডিং সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছেন... আমরা (বিজেপি) ছোট পরিবর্তন আনছি না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে, একটি রূপান্তরমূলক পরিবর্তন হচ্ছে দেশজুড়ে।" এদিন তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে কোভিড টীকাকরণের প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, "যখন আমরা টিকা প্রচার শুরু করি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একজন নেতা হিসাবে একটি উদাহরণ স্থাপন করে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু, এখনও আমি জানি না কংগ্রেস নেতৃত্ব টিকা গ্রহণ করেছে কিনা।" তিনি আরও বলেন, "আমরা ধন্য যে মোদীর রাজত্বে করোনা পরিস্থিতিকাল এসেছে এবং আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। আমি ভাবতে পারি না যদি কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকত তাহলে কি হত!"
ব্যাঙ্কগুলির একীভূতকরণের বিষয়ে উত্থাপিত একটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "COVID-19 সময়ে ব্যাঙ্ক একত্রিতকরণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছিল বলেই গ্রাহকরা ভালো পরিষেবা পেয়েছেন।" নির্মলা সীতারমন জানান, ২০১৪ সালের নির্বাচনের সময় তার দল ১৩১ টি তফসিলি জাতি/তফসিলি উপজাতি সংরক্ষিত এলাকার মধ্যে ৬৬ টিতে জয়লাভ করেছিল। সেই সংখ্যা ২০১৯ য়ের নির্বাচনে এসে দাঁড়ায় ৭৭ টিতে। ফলত বোঝাই যাচ্ছে মোদি সংখ্যালঘুদের জন্য একটি নতুন পথ উন্মুক্ত করে দিয়েছে। দেশে স্টার্টআপের ক্ষেত্রে বিপ্লব এনেছে মোদি সরকার। তিনি জানান, ২০২০ সালের পর থেকে প্রতি ৩৬ দিনে একটি করে নতুন স্টার্ট আপ শুরু হচ্ছে দেশে, যার জেরে বিশ্বের প্রতি ১০টি স্টার্টআপের মধ্যে একটি ভারতের।