১৩,৫০০ কোটি টাকা জালিয়াতি করে দেশ ছেড়েছিলেন ’১৮র জানুয়ারীতে। লন্ডনে গ্রেফতারও হয়েছেন ’১৯ এর মার্চে। কিন্তু দেশে ফেরার নিয়ে এখনও ‘নীরব’ মোদী। এমতাবস্থায় তাঁর দেশে ফেরার তোড়জোড় শুরু হতেই আবার লন্ডন হাইকোর্টে নীরবের হয়ে দেশে ফেরার বিপক্ষে সওয়াল করলেন নীরবের ব্যারিস্টার এডওয়ার্ড ফিসগেরাল।
নীরবের আইনজীবী জানান, দেশে ফেরানো হলে নীরবের মানসিক অবস্থার অবনতি হতে পারে। এমনকি মানসিক অবসাদে তিনি আত্মহত্যাও করতে পারেন। সাথে তিনি এও জানান, মুম্বাইয়ের আর্থার রোড জেল, যেটি কিনা দেশে ফেরার পর নীরবের প্রথম স্থান হবে, সেটি তাঁর সঠিক খেয়াল রাখার উপযুক্ত নয়। পাশাপাশি তিনি ভারতের কোভিড সংক্রমনের বাড়বাড়ন্ত নিয়েও আদালতে উষ্মা প্রকাশ করে নীরবের হিতে জানান, এ অবস্থায় নীরবকে ভারতে পাঠানো একেবারেই সঠিক কাজ হবে না।
বর্তমানে ৫০-বছর-বয়সী নীরব মোদী সাউথ ওয়েস্ট লন্ডনের ওয়ান্ডসওয়ার্থ জেলে আছেন এবং হাইকোর্টে প্রথম শুনানিও হেরে গেছেন। পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমান টাকা তছরুপের অভিযোগে এদেশে তাঁর মাথার উপর ঝুলছে সিবিআই ও ইডি খাঁড়া। পাশাপাশি সিবিআই-এর কাছে “সাক্ষ্য প্রমান লোপাট”, “সাক্ষ্যী প্রভাবিত করা” এবং “মৃত্যুভয় দেখানো”র মতও গুরুতর অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে।