মৃদু উপসর্গ তবে শ্বাসকষ্ট নেই, এমন ভাবে করোনাক্রান্তের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তবে এতে হোম আইসোলেশন এবং চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে থাকলেই কেটে যাচ্ছে ভয়। কিন্তু করোনাকালে নতুন করে মাথাব্যথা বাড়াচ্ছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকোরমাইকোসিস। দেশজুড়ে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন বহু কোভিডজয়ী। এমনকী মৃত্যুও হচ্ছে অনেকের। এই পরিস্থিতিতে কালো ছত্রাকের এমন হানাকে রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা ইতিমধ্যেই মহামারী বলে ঘোষণা করেছে। এবার সেই পথেই হাঁটল কেন্দ্র সরকার। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসকে দেশে ‘মহামারী’ ঘোষণা করতে চলেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
তবে তার আগেই ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পর এবার হানা দিল হোয়াইট ফাঙ্গাস অর্থাৎ সাদা ছত্রাক। করোনা, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পর এবার হানা দিতে শুরু করেছে আরও এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন। বিহারে ইতিমধ্যেই ৪ জন এই হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে খবর। যার মধ্যে রয়েছেন পাটনার এক চিকিৎসকও। চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারনাতে জানা গেছে, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের তুলনায় হোয়াইট ফাঙ্গাস অনেক বেশি ক্ষতিকর এবং প্রাণঘাতী। কারণ হোয়াইট ফাঙ্গাস সরাসরি শ্বাসযন্ত্রের ক্ষতি করে। পাশাপাশি নখ, ত্বক, পেট, যকৃত এবং গোপনাঙ্গে ক্ষত তৈরি করে রোগীকে মৃত্যুমুখে ঠেলে দিতে পারে।
বিহারের পিএমসিএইচের এক চিকিৎসক এক জাতীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, সম্প্রতি তাঁদের কাছে ৪ জন রোগী আসেন। যাঁদের উপসর্গ দেখে প্রাথমিকভাবে কোভিড বলে অনুমান করা হয়। পরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁরা করোনায় আক্রান্ত নন। এরপর ওই ৪ জনকে অ্যান্টি ফাঙ্গাল (ফাঙ্গাস প্রতিরোধক ওষুধ) ওষুধ দিলে, তাঁরা চিকিৎসায় সাড়া দিতে শুরু করেন।
তবে চিকিৎসকদের মত, যাঁদের প্রতিরোধ ক্ষমতা খুব কম, তাঁরাই হোয়াইট ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও যেমন কম রোগ প্রতিরোধকারী মানুষের উপর হামলা করছে, হোয়াইট ফাঙ্গাসও ঠিক তারই দোসর। তবে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের তুলনায় হোয়াইট ফাঙ্গাস বেশি ক্ষতিকর।