আজ বৃহস্পতিবার, ৩ রা ফেব্রুয়ারি সংসদের বাজেট অধিবেশন ২০২২ এ লোকসভায় বক্তৃতা দিয়ে রীতিমতো জাতীয় রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলে দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। লোকসভার অধ্যক্ষ রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ প্রস্তাবের উপর বক্তৃতা রাখার জন্য মহুয়া মৈত্রকে ১৩ মিনিট সময় দিয়েছিলেন। তবে নির্ধারিত সময়ের আগেই তাঁর বক্তৃতা থামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ জানান তিনি। তবে এতে দমে যাননি তৃণমূল সাংসদ। সংসদ ভবনের বাইরে দাঁড়িয়েই তিনি তাঁর বক্তৃতার বাকি অংশ শেষ করেন।
এদিন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র রাষ্ট্রপতির ভাষণকে তীব্র কটাক্ষ করে বক্তৃতা রাখেন। তিনি বলেন, "রাষ্ট্রপতির ভাষণে একাধিক জায়গায় নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। নেতাজী বলেছিলেন সমস্ত ধর্মের প্রতি ভারত সরকারের সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ মনোভাব থাকা উচিত।" সেইসাথে তিনি প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, "নেতাজি যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে কি তিনি, হরিদ্বার ধর্ম সংসদের মুসলিম গণহত্যার হুঁশিয়ারির কথা অনুমোদন করতেন?" এছাড়া ১৯৩৮ সালে কুমিল্লায় সুভাষচন্দ্র বসুর দেওয়া এক বক্তৃতা থেকে উদ্ধৃত করে মহুয়া মৈত্র বলেন, "সাম্প্রদায়িকতা সর্বাত্মক নগ্নতায় তার কুৎসিত মাথা তুলেছে।"
তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র আরও বলেন, "নেতাজি গঠিত ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীর বা আইএনএ র প্রতীক ছিল টিপু সুলতানের ঝাঁপানো বাঘ। সেই টিপু সুলতানকে মোদি সরকার পাঠ্যবই থেকে মুছে দিয়েছে। আইএনএ র নীতিবাক্য লেখা হয়েছিল তিনটি উর্দু শব্দে যা হল ইতিহাদ (ঐক্য), ইতমাদ (বিশ্বাস) এবং কুরবানী (ত্যাগ)। সেই উর্দু ভাষাকেই জম্মু ও কাশ্মীরের প্রথম ভাষা হিসেবে হিন্দিকে দিয়ে সরিয়ে দিয়েছে এই সরকার।" সেই সাথে তিনি অভিযোগ জানান যে এই সরকার ইতিহাস বদলাতে চায়। ৮০ শতাংশ (হিন্দু জনসংখ্যা) বনাম ২০ শতাংশের (মুসলিম জনসংখ্যা) লড়াই লাগিয়ে এই মোদি সরকার আমাদের প্রজাতন্ত্রকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিতে চাইছে।