জাতীয় মহিলা কমিশনের (National Commission for Women) ৩০তম প্রতিষ্ঠাদিবসে সংস্থাকে অভিবাদন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। সেইসাথে সমাজে মহিলাদের অবদান এবং তাঁদের দায়িত্ব নিয়েও সচেতন করলেন তিনি।
৩০তম বছরে পদার্পণ করা জাতীয় মহিলা কমিশনের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ’কোনও ব্যক্তি হোক বা সংস্থান, ৩০ বছরের ধাপ সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময় নতুন দায়িত্ব নেওয়ার, নতুন উদ্যমের সঙ্গে এগিয়ে চলার’।
বর্তমান ভারতে মহিলাদের পরিস্থিতি এবং ভুমিকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবর্তনশীল এই ভারতে মহিলাদের ভুমিকা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেজন্য জাতীয় মহিলা কমিশনেরও বিস্তার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে’। দেশের সমস্ত মহিলা কমিশনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি মহিলা কমিশনকে নিজেদের কর্মক্ষেত্র বিস্তার করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মহিলাদের নতুন শিক্ষাও দিতে হবে’।
প্রধানমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে উঠে আসে শিল্পে মহিলাদের ভুমিকা। বলেন, ‘বহু বছর ধরে ভারতের শক্তি তার স্থানীয় শিল্পগুলি, যা আজ এমএসএমই (MSMEs) নামে পরিচিত। এই শিল্পে পুরুষদের যতটা ভুমিকা, ঠিক ততটাই ভুমিকা মহিলাদেরও। কিছু পিছিয়ে পড়া মানসিকতার লোকজন ভাবত, মহিলাদের দক্ষতা শুধুমাত্র ঘরোয়া কাজকর্ম করার জন্যই। দেশের অর্থব্যবস্থাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য এরকম পুরানো ধারণাগুলিকে বদলানো প্রয়োজন। ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ (Atmanirbhar Bharat Abhiyan) মহিলাদের এই ক্ষমতাকেই দেশের বিকাশের সাথে সংযুক্ত করছে। নতুন ভারতের উন্নয়নচক্রে মহিলাদের অংশীদারি দিন-প্রতিদিন বাড়ছে’।
সেইসাথে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা, বিগত সাত বছরে দেশের মহিলাকেন্দ্রিক নীতিগুলি আরও সংবেদনশীল হয়েছে। ভারত আজ সেই সমস্ত দেশগুলির একটি, যারা সবচাইতে বেশি মাতৃকালীন অবকাশ প্রদান করে। কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়ার জন্য যাতে তাঁদের পড়াশোনা এবং কেরিয়ারের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা না সৃষ্টি হয়, সেজন্য মেয়েদের বিয়ের বয়স ২১ বছর করার প্রচেষ্টা চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।