প্রতি বাৎসরিক পরীক্ষার আগে পড়ুয়াদের আতঙ্কের শেষ থাকে না। ভালো প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও মানসিক টেনশন থেকেই বহু পড়ুয়া পিছিয়ে পড়েন। অনেকে তো আত্মহননের পথ বেছে নেন। সেই পড়ুয়াদের পাশে থাকতেই দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) 'পরীক্ষা পে চর্চা' (Pariksha Pe Charcha) অনুষ্ঠানের সূচনা করেছিলেন। সরাসরি পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তর কিংবা তাঁদের পাশে থাকার বার্তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এর আগেও কথা বলেছেন। সেই মোতাবেক 'পরীক্ষা পে চর্চা' অনুষ্ঠানের পঞ্চম সংস্করণে আজ পড়ুয়াদের নানা প্রশ্নের উত্তর দিলেন, নিজের মতামত ব্যক্ত করলেন।
শুক্রবার সকাল থেকেই দিল্লির তালকাটোরা স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছিল নানান অনুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন বহু জ্ঞানী-গুণীজন। উপস্থিত ছিলেন মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান (Shivraj Singh Chouhan)। অসংখ্য পড়ুয়ার পাশাপাশি অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শ্রীমোদী বলেন, আমি ছাত্র-ছাত্রীদের বলব, পরীক্ষাকে উৎসবের মতো নিতে হবে। আর তাতেই ভাল ফলাফল আসবেই। পরীক্ষা তো জীবনের একটা অংশ মাত্র। ইতিমধ্যেই তোমরা বহু পরীক্ষা দিয়েই এই জায়গায় এসেছ, ফলে বাড়তি ভয় পাওয়ার কিছুই নেই।
'পরীক্ষা পে চর্চা' অনুষ্ঠান নিয়ে গোটা দেশেই কমবেশি উত্তেজনা থাকেই। এই সময়ে দিল্লি বোর্ডের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্যের আঞ্চলিক বোর্ডগুলিও পরীক্ষা নেয়। কী মাধ্যমিক, কী উচ্চ মাধ্যমিক - দুই পরীক্ষা মিলিয়ে গোটা দেশে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কোটি ছাড়িয়ে যাবে। এই সময়ে বহু পড়ুয়ারা মানসিক চাপ নিতে না পেরে অনেক সময় ভুল পথ বেছে নেন। এই পরিসংখ্যান ভয়াবহ। তাই ফাইনাল পরীক্ষার আগে প্রধানমন্ত্রীর এই অনুষ্ঠান যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
এদিন প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, "আজ আমি এখানে কীভাবে বেশি মার্কস পেতে হয়, সেসব কথা বলতে আসিনি, তবে জীবনের পথে আরও কীভাবে সুন্দরভাবে এগিয়ে যাওয়া যায়, তাই বলতে এসেছি।" তিনি আরও বলেন, "আমরা তো রোজই কোন না কোন পরীক্ষা দিয়েই চলেছি। জীবন তো পরীক্ষারই অপর নাম। তাই ক্লাসের পরীক্ষা নিয়ে বাড়তি চাপের কোন প্রয়োজন নেই।"