আজ ৪২ বছরে পা দিল ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। জনতা দল ভেঙে ১৯৮০ সালে তৈরি হয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। বর্তমানে বিজেপি দল প্রায় গোটা দেশেই প্রাধান্য বিস্তার করেছে। বিজেপির এই অভাবনীয় সাফল্য একদিকে সম্ভব হয়নি। বহু উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসে বিজেপি। ফের ২০২১ সালে সাফল্য। নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন সরকার কেন্দ্রে বর্তমানে একচ্ছত্র অধিকার কায়েম করেছে। তাই বিজেপির ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবস যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। আজ থেকে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত গোটা দেশজুড়েই প্রতিষ্ঠা-দিবস পালন করবে বিজেপি।
এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজেপির ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রত্যেক নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানালেন। নিজের দেওয়া ভাষণে বারবার বিজেপির সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন। পাশাপাশি দলের জন্য যাঁরা আত্মবলিদান দিয়েছেন কিংবা জনসংঘের হয়ে যাঁরা নিরন্তর কাজ করে চলেছেন, তাঁদের প্রণাম জানালেন। গত ১০ বছরে কেন্দ্রের নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার যেভাবে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এগিয়ে চলেছে, তার খতিয়ানও তুলে ধরলেন। প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, আগে দেশের মানুষ ভাবতেন, দেশে যেই সরকার আসুক কোন পরিবর্তন সম্ভব নয়। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতের জন্য নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দেশের মানুষ এখন গর্বের সঙ্গে বলছেন দেশ বদলেছে।
এদিন মোদীর কথায় ফের পরিবারতন্ত্রের কথা উঠে আসে। কংগ্রেস জমানায় সেই পরিবারতন্ত্রের জন্যই জনমানসে কানাঘুষো চলত। তিনি বলেন, এখনও দেশে কয়েকটি রাজনৈতিক দল আছে, যাঁদের পরিবারের লোকজন সেই দলগুলির সঙ্গে যুক্ত। দুর্নীতি সরাতে তারা একে অপরকে সাহায্য করছে। বিজেপি জমানায় সেই ঘটনা থেকে মুক্ত দেশ। দেশ এখন লোকালকে ভোকাল করা হচ্ছে। ভারত বর্তমানে গোটা বিশ্বের কাছে প্রতিনিধিত্ব করছে।
বিজেপির ৪৩ তম প্রতিষ্ঠা দিবসে সকাল থেকেই তুঙ্গে ছিল প্রস্তুতি। রাজ্য বিজেপির তরফে বিভিন্ন দলীয় অফিসে ভার্চুয়াল মাধ্যমে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ শোনানোর ব্যবস্থা হয়েছিল। গোটা সপ্তাহ জুড়েই চলবে নিজেদের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরার কাজ। এদিনের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নারী শক্তির সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। গত কয়েক বছরে ভারতীয় মহিলারা যেভাবে এগিয়ে এসেছেন, সত্যিই তা প্রশংসনীয়।