অলিম্পিক স্বর্ণপদক বিজয়ী সুশীল কুমার, হত্যা মামলার জেরে তিহার জেলে বর্তমানে বন্দী রয়েছেন। তিহার জেলের কর্মকর্তারা আজ অর্থাৎ রবিবার জানিয়েছেন, "সুশীল বর্তমানে কারাগারের কয়েদিদের ফিটনেস এবং রেসলিং কোচ হিসাবে কাজ করছেন। ইতিমধ্যেই পাঁচ-ছয়জন বন্দী সুশীলের ফিটনেস ক্লাসে যোগ দিয়ে সপ্তাহে দুদিন করে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন"।
উল্লেখ্য, নয়াদিল্লির ছত্রসাল স্টেডিয়ামে তরুণ ক্রীড়াবিদ সাগর ধনকারকে মারধর ও হত্যার অভিযোগে গত বছরের মে মাসে সুশীল ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। কারাকর্তৃপক্ষ সুত্রে খবর, গত বছরই তারা জেলবন্দীদের খেলাধুলায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু করোনা অতিমারির কারণে সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। তবে চলতি বছরে কোভিড অনেকাংশে কমে যাওয়ার কারণে জেলবন্দীদের খেলাধুলায় অন্তর্ভুক্তকরণ হচ্ছে। সুত্রের খবর, সুশীল প্রথমে প্রাক্তন JNU ছাত্র উমর খালিদকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন।
একজন সিনিয়র কর্মকর্তার কথায়, "তিহারের প্রায় এক ডজন বন্দী বলেছে যে তারা কুমারের কাছ থেকে ফিটনেস কোচিং চায়। যারা আগ্রহী তাদের জন্য এটি শুরু হয়েছে। পাঁচ থেকে ছয়জন বন্দীর একটি ব্যাচ আপাতত শিখছে। আমরা আশা করি আরও বন্দী শীঘ্রই যোগদান করবে।" এছাড়াও বন্দীদের জন্য দিল্লি কারাগার বিভাগ খো-খো, ভলিবল, বাস্কেটবল, দাবা এবং ক্যারামের মতো বিনোদনমূলক খেলাধুলায় উৎসাহিত করার উদ্দেশ্যে পেশাদার প্রশিক্ষকও ডেকেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সুশীল কুমারের মামলার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে দিল্লি পুলিশ জানায়, তারা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে। নির্যাতিতা ধনকারের বন্ধুরা কুমার এবং অন্যান্য কুস্তিগীরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পরে হামলা তথা খুনের মামলায় মোট ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। পুলিশ সুত্রে খবর, ধনকারের সাথে সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যার কারণে হত্যাটি কুমারের একটি 'ষড়যন্ত্র' ছিল।