চলছে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন (Uttar Pradesh Assembly Election) পর্ব। তার মাঝেই মুসলিম মহিলাদের উদ্দেশ্যে ধনাত্মক বার্তা শোনা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) মুখে। সোমবার নির্বাচনী প্রচারে নরেন্দ্র মোদী বলেন, উত্তরপ্রদেশের মুসলিম মহিলারা নিঃশব্দে তাঁদের বাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে বিজেপির (BJP) পক্ষে মতদান করছেন।
কানপুরের আকবরপুর এলাকায় একটি জনসমাগমে অংশগ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের মুসলিম মা-বোনেরা মোদীকে আশিরবার দেওয়ার জন্য মনঃস্থির করে ফেলেছেন…ওনারা জানেন যে যারা সুখে-দুঃখে প্রয়োজনে আসে, তারাই আপন”।
তিনি বলেন, নির্বাচনের প্রথম দুই দফার ভোটে তিনি দেখতে পেয়েছেন, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে মুসলিমদের সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। তাই তিনি ‘তিন তালাক’ (Triple Talaq) প্রথা নিষিদ্ধ করে সেখানকার মুসলিম মহিলাদের নির্যাতনের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, তিন তালাকের মতো প্রথা নিষিদ্ধ করায় উত্তরপ্রদেশের মুসলিম মহিলারা নিজেদের বিয়ে বাঁচাতে পেরেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের ইঙ্গিতে ছিল, জাতি এবং ধর্মভেদের কুৎসার মধ্যেও বিপুল পরিমাণ জনমত নিয়ে ফের ক্ষমতায় আসবে বিজেপিই। বিরোধীপক্ষকে খোঁচা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবারবাদীরা’ ২০১৪, ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে হেরেছিল। আরও একবারের জন্য তারা হারবে। ১০ দিন আগে থেকেই উত্তরপ্রদেশে হোলি শুরু হয়ে যাবে বলেই ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ’কে ‘উপ’যোগী আখ্যা দেন প্রধানমন্ত্রী।
সমাজবাদী পার্টি (SP) এবং রাষ্ট্রীয় লোক দল’কে (RLD) এক আসনে বসিয়ে প্রধানমন্ত্রী আক্রমণ শানিয়ে বলেন, যারা সমসময় নিজেদের সঙ্গী বদলায়, তাঁদের মানুষ কিভাবে বিশ্বাস করবে? সেইসাথে তিনি এও বলেন, “আগামী ১০ মার্চের পর তারা আবার ‘তু তু, ম্যায় ম্যায়’ শুরু করে দেবে”। সমাজবাদী পার্টি এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টিকে (BSP) “মাফিয়া, বিদ্রোহী এবং অপরাধী” বলেও আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বিজেপি’র ‘ডবল ইঞ্জিন’ সরকারেরও প্রশংসা শোনা যায় মোদীর মুখে।