দিওয়ালির আগেই গোটা দেশবাসীর জন্য বড় উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আসলে গত কয়েক মাস ধরে ক্রমাগত দাম বৃদ্ধি পাচ্ছিল পেট্রোল এবং ডিজেলের। আকাশছোঁয়া দাম দেখে গোটা দেশ মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় তুলেছিল। এই পরিস্থিতিতে আজ বুধবার এক ধাক্কায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অনেকটাই কমালো মোদি সরকার। এক বিজ্ঞপ্তি মাধ্যমে জানানো হয়েছে, "পেট্রোলে লিটার পিছু ৫ টাকা ও ডিজেলে লিটার পিছু ১০ টাকা করে দাম কমানো হবে। এই নতুন দাম গোটা দেশজুড়ে আগামী ৪ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে।"
আসলে মোদি সরকার বুধবার থেকে পেট্রোল এবং ডিজেলের দামের উপর আবগারি শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটি কমানোর ঘোষণা করেছে। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফ জানানো হয়েছে, "দেশে শক্তির ঘাটতি যাতে না হয় তাই জন্য সরকার পেট্রোল ও ডিজেলের মত পণ্যগুলির দাম কমানোর চেষ্টা করছে। প্রত্যেকে যাতে তাদের প্রয়োজনমত জ্বালানি কিনতে পারে সেটাই সরকারের প্রচেষ্টা। আবগারি শুল্ক কমিয়ে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমানো সেই প্রচেষ্টার এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।" আজকের দিনে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম কলকাতা শহরে ছিল ১১০ টাকা ৪৯ পয়সা। অন্যদিকে দিল্লি এবং মুম্বাই শহরে আজকে পেট্রোলের দাম ছিল যথাক্রমে ১১০.০৪ টাকা ও ১১৫.৮৫ টাকা।
এছাড়া জানা গিয়েছে সেপ্টেম্বর মাস থেকেই জিএসটি কাউন্সিল জ্বালানির দাম জিএসটি করের আওতায় আনার বিষয়ে আলোচনা করছে। সেটি হয়ে গেলে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম অনেকটাই হ্রাস পাবে। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদদের মতে, জিএসটি আওতায় আনা হলে পেট্রোলের দাম প্রতি লিটারে ৭৫ টাকা ও ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৬৮ টাকা অব্দি হতে পারে। তবে পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম জিএসটি আওতায় আনতে হলে কেন্দ্রের মোট জিডিপির ০.৪ শতাংশ অর্থাৎ ১ লাখ কোটি টাকা ক্ষতি হবে। তাই এখন কেন্দ্র এবং রাজ্য উভয় অপরিশোধিত তেল পণ্যগুলিকে জিএসটি আওতায় আনার পক্ষে নেই।