কিছুক্ষণ আগেই সংসদভবনে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট (budget) পেশ করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। আর তার পর থেকেই বাজেট নিয়ে মুখ খুলেছেন একাধিক রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে অর্থনীতিক বিশেষজ্ঞ। তাঁদের কেউ প্রশংসার বন্যায় ভাসিয়েছেন তো কেউ বাজেটের কড়া সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh) সাম্প্রতিক বাজেটের তেমনই এক গুণগ্রাহী। নতুন বাজেটে প্রতিরক্ষা বিষয়ে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণাকে তিনি ‘দারুণ পদক্ষেপ’ বলে বর্ণনা করেছেন। উল্লেখ্য, বাজেটে প্রতিরক্ষা বিষয়ের অর্থমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন, ২০২২-২৩ প্রতিরক্ষা বাজেটের ২৫ শতাংশ যাবে স্টার্ট-আপ (start-up) এবং বেসরকারি সংস্থার কাছে। তাছাড়া বাজেটে এও বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা বাবদ বরাদ্দ বাজেটের ৬৮ শতাংশ দেশীয় শিল্পকে বাহবা দেওয়ার সুবাদেই ব্যবহার হবে। এটি যে কেন্দ্র সরকারের ‘ভোকাল ফর লোকাল’কে (vocal for local) এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে সে বিষয়ে টুইট করেছেন রাজনাথ।
আনন্দ মাহিন্দ্রা (Anand Mahindra) বাজেটের প্রশংসায় টুইট করে লিখেছেন, অর্থমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ততম বাজেট সবথেকে কার্যকরী প্রমাণিত হতে পারে। ‘২০২২-২৩ অর্থবর্ষের বাজেট আর্থিক পশ্চাদপসরন এবং অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের মধ্যে সুসাম্য বজায় রেখেছে’, জানিয়েছেন এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের (HDFC Bank) প্রধান অর্থনীতিবিদ অভীক বড়ুয়া। বাজেটে ভারতের গেমিং শিল্পের উপরেও ভারত সরকার আলোকপাত করায় কেন্দ্র সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন উইনজো (WinZo) অ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা পবন নান্দা।
অন্যদিকে বাজেট নিয়ে সমালোচনাও করতে ছাড়েননি অনেকে। বাজেটে সাধারণ মানুষের সম্বন্ধে কিছু বলা হয়নি বলে কেন্দ্র সরকারকে বিঁধেছেন বিরোধীপক্ষের একাধিক নেতা-নেত্রী। কংগ্রেস (congress) নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) বাজেটকে ‘শূন্য বাজেট’ তকমা দিয়ে টুইটারে লিখেছেন, ‘বাজেটে উপার্জনকারী শ্রেণী, মধ্যবিত্ত শ্রেণী, গরীব এবং পিছিয়ে পড়া মানুষজন, যুবসমাজ, কৃষক, ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের সাথে জড়িতদের জন্য একটা শব্দও খরচ করা হয়নি’। ‘সাধারণ মানুষ, যারা বেকারত্ব এবং মূল্যবৃদ্ধির তলায় পেষিত, তাঁদের জন্য কিছুই নেই বাজেটে’, টুইট করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাজেটে ঘোষিত নদী সংযোগকারী প্রকল্পগুলিকে ‘ধ্বংসাত্মক পরিকল্পনা’ বলে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ (Jairam Ramesh)। ২০২২-২৩ বাজেটকে ‘চূড়ান্ত হতাশাজনক’ বলতে শোনা গিয়েছে আর এক কংগ্রেস নেতা শশী থারুর’কে (Sashi Tharoor)। ‘দেশে ‘আচ্ছে দিন’ আসতে আরও ২৫ বছর লাগবে’, বলেছেন থারুর। সবমিলিয়ে, প্রকাশের পর থেকেই বাজেট নিয়ে সরগরম দেশের রাজনীতি।