এ বছরের মতো শেষ 'মন কি বাত' (Mann Ki Baat) অনুষ্ঠানে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে দেশের গৌরবের কথা তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। গত বারের মন কি বাত অনুষ্ঠানে দেশের সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন তিনি। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানী সেনার বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনার অপ্রতিরোধ্য লড়াইয়ের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস জাতির কাছে তুলে ধরেছিলেন। গত সাত বছর ধরেই সাধারণত প্রত্যেক মাসের শেষ রবিবার 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী দেশের স্বপ্ন, মানুষের গৌরবের কথা তুলে ধরেন।
এদিন ৮৪ তম 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে ভারতের কোভিডের মতো মহামারির বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম হয়েছে, একথা তুলে ধরেছেন। কোভিডের নয়া প্রজাতি ওমিক্রনের বিরুদ্ধে লড়তে দেশ প্রস্তুত। দেশের বিজ্ঞানীরা নিরন্তর এই নয়া স্ট্রেনের গতি-প্রকৃতি বিষয়ে সজাগ আছেন। চলছে গবেষণার কাজ। গত ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মহামারির বিরুদ্ধে দেশ লড়তে সক্ষম হয়েছে। এ কম গৌরবের কথা নয়, বলে শ্রীমোদী উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী এদিনের ভাষণে 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেন। তিনি বলেন, "মন কি বাত অনুষ্ঠান কেবল সরকারের উল্লেখযোগ্য কাজের খতিয়ান তুলে ধরা নয়। বরং এই কাজের সঙ্গে যুক্ত অসংখ্য মানুষের কৃতিত্বকে তুলে ধরা। দেশের প্রতিটি কোণায় থাকা মানুষ, যাঁরা অগোচরে দেশের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত রেখেছেন, তাঁদের কথা তুলে ধরা। তাঁদের জীবনের ইতিহাস জেনে আরও ভারতীয়দের উৎসাহিত করা।"
চলতি মাসে তামিলনাড়ুর কন্নুর এলাকার ভয়াবহ সেনা বিমান দুর্ঘটনার কথা ফের স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। দেশের প্রথম সিডিএস বিপিন রাওয়াতের জীবনকৃতির কথা তুলে ধলেন। পাশাপাশি গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিংয়ের অসামান্য লড়াইয়ের কথা জাতির কাছে তুলে ধরেন। বরুণ সিংয়ের মৃত্যুর কিছুদিন আগে নিজের স্কুলে প্রেরিত একটি চিঠির কথা জনসমক্ষে তুলে ধরেন। বলেন, "সাফল্যের সর্বোচ্চ শীর্ষে পৌঁছেও তিনি যে নিজের স্কুলের কথা মনে রেখেছেন, এটাই তো একজন প্রকৃত বীরের পরিচয়।"
সামনেই শুরু হচ্ছে পরীক্ষা মরশুম। প্রতিবারের মতো এবারেও পরীক্ষার্থীদের পাশে থাকতে পরের 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে পরীক্ষা পে চর্চার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখ পর্যন্ত চলবে অনলাইন রেজিস্ট্রেশন। যেখানে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষার্থী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবকরা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন। এই বছর দেশের প্রতিটি মানুষ কী কী বই পড়েছেন, তা একে অপরের সঙ্গে আলোচনার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি উল্লেখ করেন, পারস্পরিক আলোচনায় নিজের চিন্তাশক্তি, বিচার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।