টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ জন সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকায় এবারে উঠে এলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া পুনের আদর পুনাওয়ালা। বুধবার, টাইম ম্যাগাজিনের তরফ থেকে এই তালিকা প্রকাশ করার সঙ্গে সঙ্গেই রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা দেশে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস, চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি, ইজরায়েলের নাফতালি বেনেট, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে এক তালিকায় স্থান পেলেন মমতা, মোদি এবং আদর পুনাওয়ালা।
উল্লেখযোগ্য বিষয়, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তালিবান সরকারের সহ প্রধানমন্ত্রী আব্দুল গনি বরাদরও রয়েছেন এই তালিকায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নাম যদিও এই তালিকায় এর আগেও অনেকবার উঠেছে। টাইম ম্যাগাজিনের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের সবথেকে বড় কয়েকজন নেতাদের মধ্যে একজন। মার্কিন সংবাদ সংস্থা সিএনএন এর ফরিদ জাকারিয়া ম্যাগাজিনে লিখলেন, 'করোনাভাইরাসের সময় পরিস্থিতি খারাপ হওয়া সত্বেও, এবং মৃত্যুর তালিকা অনেকটা উপরের দিকে হওয়া সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তা আকাশ ছোঁয়া।'
পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টিকে পরাজিত করে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পরেই এই তালিকায় উঠে এসেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের এই জয়ের পরে নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একজন বিশাল বড় ফ্যাক্টর। অন্যদিকে, এই তালিকায় রয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা, যিনি সবথেকে বড় কিছু ওষুধ প্রস্তুতকারকদের মধ্যে একজন। এই ১০০ জনের তালিকায় সবথেকে বেশি প্রভাবশালী ১৫ জনের মধ্যে স্থান পেয়েছেন আদর পুনাওয়ালা। করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি তার তৈরি ভ্যাকসিনের মাধ্যমে সাহায্য করেছিলেন সারা বিশ্বকে। এই কারণেই, সবথেকে বেশি প্রভাবশালীদের তালিকাতেও স্থান করে নিয়েছেন সেরাম ইনস্টিটিউট এর সিইও। এদের সাথেই তালিবান সরকারের সহ প্রধানমন্ত্রী আব্দুল গনি বরাদর এবং প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই তালিকায় রয়েছেন। এনারাও নিজের দেশে এবং বিশ্বে বেশ প্রভাবশালী বলেই পরিচিত। তবে, বিশ্বের এত তাবড় তাবড় নেতাদের মাঝখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্থান পাওয়া সবথেকে আশ্চর্যের বিষয়। অন্যদিকে, বাংলার জন্য বিষয়টি বেশ গর্বেরও বটে।