বিহারে (Bihar) বেশ কিছু বছর ধরেই সুরাপানের উপর জারি রয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। যদিও সেই নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে রমরমিয়ে নীতিশ রাজ্যে চলে বেআইনি মদের কারবার। খায়ও দেদার লোক। এতদিন পর্যন্ত বিহারে সুরাপান করে ধরা পড়লে হাজতবাস হত ‘অপরাধী’র। তবে সে নিয়মে এবার পরিবর্তন আনতে চলেছে বিহারের নিষেধাজ্ঞা, আবগারি ও নিবন্ধন বিভাগ। ‘মদ নিষিদ্ধ আইন’এ (liquor prohibition law) নতুন নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, এবার থেকে জেল হবে না মদ্যপ ব্যক্তিদের যদি তাঁরা সরবরাহকারীর সম্পর্কে তথ্য দিয়ে তাকে ধরতে সাহায্য করে।
সোমবারই নিজ দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে বৈঠক করে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন সেরাজ্যের আবগারি এবং প্রবন্ধক বিভাগের সহকারী মুখ্য সচিব কেকে পাঠক। এবিষয়ে রাজ্য আবগারি কমিশনার বি কার্তিকেয় ধাঞ্জি জানিয়েছেন, বিভাগ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তটি অবিলম্বে কার্যকরী হবে। একইসাথে ‘লিকার মাফিয়া’দের (liquor mafia) সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সাহায্য করবে এই নয়া নিয়ম, জানিয়েছেন তিনি। কার্তিকেয়র কথায়, “ধরা পড়ার পর জোগানদারের নাম বলে দিলে কেবলমাত্র জরিমানার বিনিময়েই ছাড়া পেয়ে যাবে মদ্যপ। এর ফলে আইনি সমস্যাও কমবে এবং কারাগারে এই সংক্রান্ত অপরাধীর সংখ্যাও কমবে”।
কিন্তু কোন পদ্ধতিতে কাজ করবে এই নয়া নিয়ম? ধাঞ্জি জানিয়েছেন, “রাজ্য সরকার ঠিক করেছে, মদ্যপদের ছেড়ে দেওয়া হবে, এমনকি তাদের যদি মদ্যপানরত অবস্থায় দেখে ফেলা হয় তখনও। তবে তার পরিবর্তে আধিকারিকদের কাছে মদ সরবরাহকারীর নাম বলতে হবে ধৃতকে। একবার সরবরাহকারী ধরা পড়ে গেলে ছাড়া পেয়ে যাবেন সুরাপানকারী”। এভাবেই রাজ্যে বেআইনি মদ বিক্রির শৃঙ্খল ভাঙ্গা যাবে বলেই আশাবাদী তিনি।