গতকাল ১লা ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন চলতি বছরের বাজেট অধিবেশন করেন। গোটা দেশবাসী এই করোনা ভাইরাস প্যানডেমিক পরিস্থিতিতে মধ্যবিত্তের হাতে নগদের যোগান বাড়তে পারে বলে আয়করে ছাড় দেওয়া হবে বলে আশা করেছিলেন। কিন্তু গতকালের বাজেট অধিবেশনে তেমন কোনো আলোচনা করলেননা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। বরং তিনি উল্টে কর সংক্রান্ত কয়েকটি সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন। আসুন আজকের এই প্রতিবেদনে গতকালের বাজেট অধিবেশনে আয়কর সংক্রান্ত কি কি নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে, তা সবিস্তারে জেনে নিন।
১) যাদের বয়স ৭৫ বছর বা তার বেশি তাদের আগামী অর্থবছর থেকে ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন দিতে হবে না। তবে যে সমস্ত প্রবীণের শুধুমাত্র পেনশনের টাকায় নির্ভরশীল তাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম লাগু হবে। তবে এটা ভাবা ভুল যে তাদের করের টাকা মুকুব হয়েছে। আসলে প্রবীনদের করের টাকা ব্যাংক থেকে সরাসরি কেটে নেওয়া হবে। তাই আর ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন করার ঝামেলায় পড়তে হবে না।
২) দেশের উচ্চ আয়বিশিষ্ট কর্মীদের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের পরিসীমা কমানো হবে। যাবতীয় প্রভিডেন্ট ফান্ডের কর্মীদের বার্ষিক আয় ২.৫ লাখের উপর সুদ মেলে, তাদের করের আওতায় আনা হয়েছে।
৩) বার্ষিক প্রিমিয়ামের অঙ্ক যদি ২.৫ লাখ টাকার বেশি হয় তাহলে আয়কর আইনের ১০ ধারায় ইউনিট লিংক ইন্সুরেন্স পলিসি বা ইউলিপের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে না।
৪) গত বছরের বাজেট অনুযায়ী বাড়ি কেনার জন্য ঋণের সুদ ১.৫ লাখ টাকার বেশি হয়ে গেলে তার করের উপর ছাড় দেওয়া হয়। এবার এই পরিষেবার মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হলো। আগামী বছরের ৩১ মার্চ অব্দি যদি এই ঋণ নেওয়া হয় তাহলে এই কর মুকুবের সুবিধা পাওয়া যাবে।
৫) যারা আয়কর রিটার্ন জমা দেয় না তাদের জন্য এবার নতুন ২০৬এবি নামক এক ধারা যুক্ত করা হবে।