ভারতে বহুল প্রচলিত অনলাইন গেমগুলির মধ্যে একটি হল অনলাইন তাস খেলা বা রামি। এই গেম খেলে আয়ের ঠিকানাও খুঁজে নিয়েছেন অনেকে। তবে এই অনলাইন গেমটিকে অবৈধ আখ্যা দিয়ে এর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেরালা রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কেরালা হাইকোর্টে পিটিশন দাখিল করে চারটি অনলাইন রামি কোম্পানি। সোমবার সেই পিটিশন বিবেচনা করে কেরালা হাইকোর্ট তুলে নিল সে রাজ্যে রামি গেম খেলার উপর নিষেধাজ্ঞা।
কেরালা সরকার এই গেমটিকে ব্যান করার কারন হিসাবে বলেছিল, এই গেমটি বিধিবহির্ভূত, অবৈধ এবং এর মাধ্যমে সাম্যের অধিকার নষ্ট হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই কেরালা হাইকোর্টের জবাব, এই গেম কেবলমাত্র কপালের জোরেই জেতা যায় না। বরং এই গেমে জিততে গেলে দক্ষতা থাকা আবশ্যিক।
কেরালা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চে পিটিশন দাখিল করেছিলেন চার রামি কোম্পানি। পিটিশন বিবেচনার পর এই গেমটিকে বৈধ বলেই ঘোষণা করেন বিচারপতি টিআর রবি। রায়দানের সময় বিচারপতি সুপ্রিম কোর্টের দুটি রায়দানের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। তার মধ্যে একটি হল ১৯৬৮ সালের অন্ধ্র প্রদেশ বনাম কে সত্যনারায়ণ মামলা এবং অপরটি ১৯৯৬ সালের তামিলনাড়ু বনাম ডঃ কেআর লক্সমনম মামলা। এই দুই মামলার সাথে কেরালা গেমিং অ্যাক্ট, ১৯৬০-এর ৩ এবং ১৪ নম্বর ধারার উল্লেখ করে বিচারপতি জানান, দেশের সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত রায়দান করে জানিয়েছেন, এই গেমে জিততে গেলে কপালের জোর নয়, চাই দক্ষতা। সাথে কোর্টের সংযুক্তি, কোনও অর্থ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হোক বা না হোক, রামি গেমটি সবসময়ই ‘দক্ষতা কেন্দ্রিক’ গেম থাকবে।
কেরালা হাইকোর্টের নির্দেশ, দক্ষতা কেন্দ্রিক কোনও গেমকেই নিষিদ্ধ করা যাবে না। শুধু নির্দেশই নয়, কেরালা সরকারের এই ঘোষণাকে অতিরিক্ত বলে কটাক্ষও করে হাইকোর্ট।