কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়ার (সিপিআই) অন্যতম লড়াকু যুব প্রতিনিধি এবং কেন্দ্রীয় শাসক দলের অন্যতম বিশিষ্ট সমালোচক কানহাইয়া কুমার যোগদান করতে চলেছেন কংগ্রেসে। শুনতে অবাস্তব লাগলেও খুব শীঘ্রই এমন নজিরবিহীন ঘটনার সম্মুখীন হতে চলেছে ভারতবর্ষ। তবে শুধু কানহাইয়াই নন, রাষ্ট্রীয় দলিত অধিকারী মঞ্চেরও এক যুব নেতা এবং গুজরাট বিধানসভার স্বাধীন বিধায়ক জিগনেশ মেওয়ানিও একই দিনে যোগদান করতে চলেছে কংগ্রেসে।
প্রাথমিকভাবে, আগামী ২রা অক্টোবর অর্থাৎ গান্ধী জয়ন্তীর দিনেই রাহুল গান্ধীর হাত ধরে এই দুজনের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তবে নিজেদের মধ্যে আলোচনার পর তাঁরা যোগদানের দিনটি আরও পাঁচদিন আগিয়ে এনেছেন। সূত্রের খবর, আগামী ২৮শে সেপ্টেম্বর অর্থাৎ শহীদ ভগত সিংয়ের জন্মজয়ন্তীতেই এই দুই যুবনেতা কংগ্রেসের হাত ধরতে চলেছেন।
যদিও দলবদলের গুঞ্জনের মাঝেই নিশ্চুপ কানহাইয়া। এবিষয়ে সিপিআইয়ের মহাসচিব ডি রাজাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, কানহাইয়া এমাসের শুরুতেও দলীয় বৈঠকে অংশগ্রহন করেছেন। তবে কানহাইয়ার এক পরিচিত জানিয়েছেন, সিপিআই দলে থেকে ‘শ্বাস নিতে পারছিলেন না’ কানহাইয়া! তাই তিনি রাহুল গান্ধীর সাথে এবিষয়ে আলোচনা করেন। সে থেকেই তাঁর দলত্যাগের বিষয়টি প্রকট হয়েছে।
বিহার থেকে কানহাইয়া কুমার এবং গুজরাট থেকে জিগনেশের কংগ্রেসে যোগদান ২০২৪-এ কংগ্রেসের পালে আরও বেশি হাওয়া জোগাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। ২০১৯ সালে বেগুসরাই থেকে বিজেপির গিরিরাজ সিংয়ের বিরুদ্ধে লোকসভা নির্বাচনে লড়েন কানহাইয়া। তবে সেই লড়াইয়ে হেরে যান তিনি। এবার কংগ্রেসের হাত ধরতে চলেছেন তিনি। আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনি যে রাহুল গান্ধীর হয়ে গলা ফাটাবেন, সে কথা বলতে অপেক্ষা রাখে না। সাথে গুজরাটের রাজনীতিতেও জিগনেশের প্রভাব যথেষ্ট। দুই যুবনেতাই স্পষ্ট বক্তা এবং যুবসমাজের মধ্যে বিপুল জনপ্রিয়। তাই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে এই দুই উঠতি রাজনীতিবিদের হাত ধরে কি কংগ্রেসের বৈতরণী পার হবে, সে কথা সময়ই বলবে!