ধর্ষণকারীর কি শাস্তি হওয়া উচিত? এ বিষয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠের মত থাকে ফাঁসি বা অন্য কোনও মৃত্যুদণ্ড। তবে যদি বলা হয়, ধর্ষণকারীকে কাপড় কাচতে হবে! কি চোখ কপালে উঠল তো? ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এমনই নজিরবিহীন রায় শোনালো বিহারের মধুবনী এলাকার এক আদালত।
আদালতের তরফে অভিযুক্তকে কি শাস্তির কথা শোনানো হয়েছে? বলা হয়েছে, আগামী ছয় মাস শাস্তিস্বরূপ তাকে গ্রামের সমস্ত সমস্ত মহিলার কাপড় বিনামূল্যে ধুয়ে, কেচে, ইস্ত্রি করে দিতে হবে। বিহারের মধুবনী এলাকার ঝাঁঝরপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা বিচারক অভিনাশ কুমার এমনই অদ্ভুত শাস্তির কথা শুনিয়েছেন অভিযুক্তকে। উল্লেখ্য, এবছরের এপ্রিল মাসে ২০ বছরের লালন কুমার সাফির বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলাটি কোর্টে ওঠে। অভিযুক্তের আইনজীবী মক্কেলের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, মাত্র ২০ বছর বয়সী লালনকে তার বয়সের দিক বিবেচনা ক্ষমা করে দেওয়া হোক। সাথে তিনি আরও জানান, পেশায় ধোপা তাঁর মক্কেলটি তার পেশাগত যোগ্যতানুযায়ী সমাজসেবা করতে প্রস্তুত।
অভিযুক্তের সমাজসেবার কথা শুনেই হয়ত মন গলে বিচারপতির। মঙ্গলবার তিনি অভিযুক্তকে ১০ হাজার টাকা করে দুটি বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেন। সাথে পেশায় ধোপা লালনকে শোনান তার ‘পেশাগত যোগ্যতা অনুযায়ী’ অভিনব শাস্তি।
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বিতর্কিত রায় দিয়ে সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এসেছেন এই বিচারপতি। এ বছরের অগাস্ট মাসে লকডাউন চলাকালীন স্কুল খোলার জন্য এক শিক্ষককে তিনি নির্দেশ দেন, গ্রামের সব ছাত্রকে বিনামূল্যে পড়াতে হবে তাঁকে। তবে এবারের শাস্তি একেবারেই নজিরবিহীন। আর গুরু পাপের বিরুদ্ধে এমন লঘু দণ্ড প্রদানের জন্য বিচারকের উপর চটেছেন অনেকেই।