করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কাবু গোটা দেশ। ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছুঁয়েছে ১,৪৫,২৬,৬০৯। মোট সুস্থতার সংখ্যা ১,২৬,৭১,২২০। অ্যাক্টিভ কেস ১৬,৭৯,৭৪০। মোট মৃতের সংখ্যা ১,৭৫,৬৪৯ জন। করোনার দাপটে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ এপ্রিলের হিসাব অনুযায়ী দাঁড়িয়েছে, ২,৩৪,৬৯২ জনে। রিপোর্ট, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ১৩৪১ জনে দাঁড়িয়েছে। যা নিঃসন্দেহে ভয়াবহ পরিস্থিতিকেই ইঙ্গিত করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১,২৩,৩৫৪ জন। এখনও পর্যন্ত মোট ১১,৯৯,৩৭,৬৪১ জনক ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছরে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন গোটা দেশ। এই পরিস্থিতিতে দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো সহ অন্যান্য সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। ফের একের পর এক সমালোচনার তীর ছুঁড়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রীর দিকে।
চলতি মাসেই করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে একগুচ্ছ অনুরোধ করেছিলেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী। বলেছিলেন, টিকা দেওয়ার জন্য বয়সের চেয়ে প্রয়োজনকে বড় করে দেখতে হবে। যেখানে করোনার সংক্রমণের প্রকোপ এবং প্রক্ষেপণ বেশি, সেই সমস্ত এলাকায় আগে ভ্যাকসিন দিতে হবে। যাদের বেশি প্রয়োজন ভ্যাকসিনের, আগে তাঁদের ভ্যাকসিন দিন। এর সাথেই প্রধানমন্ত্রীকে তিনি আবেদন করেন, ভাইরাসের বিস্তার বন্ধে বিধিনিষেধ আরোপের সাথে সাথে তার ন্যূনতম মাসিক গ্যারান্টেড ইনকাম স্কিম স্থাপন করা উচিত এবং প্রতিটি যোগ্য নাগরিকের অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার টাকা দেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি করোনা মহামারীর বিরুদ্ধে ব্যবহৃত সমস্ত সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি, ওষুধকে জিএসটি থেকে অব্যাহতি দিন। তবে একথার উত্তর মেলেনি কেন্দ্রের তরফে।
এরপরেই এদিন কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধী কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির উদ্দেশ্যে এক ভাষণে ফের প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমালোচনা করে সোনিয়া গান্ধী এদিন বলেন, "এটা খুবই দুঃখজনক যে, একবছর প্রস্তুতির সময় পেয়েও আবারও ভারতে সংক্রমণ ধরা পড়ছে।" এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। সেখানেই করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে একের পর এক তোপ দাগেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, একবছরের বেশি সময় ধরে করোনা মোকাবিলার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্র। গত বছর এই সময় দেশ জুড়ে লকডাউন জারি করেছিল কেন্দ্র। তার জেরে স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল জনজীবন। লকডাউন কাটতেই ফের করোনা, এখন আরও বেশি সংক্রমণ। সরকারের সঠিক পরিকল্পনার অভাবেই এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের পরিসংখ্যান তুলে তিনি বলেন, "এটা খুবই দুঃখজনক যে, একবছর প্রস্তুতির সময় পেয়েও আবারও ভারতে সংক্রমণ ধরা পড়ছে। মহামারীর মতো জাতীয় সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই সবধরনের রাজনীতির উর্ধ্বে। এই মুহূর্তে যে গতিতে ভারতে করোনার সংক্রমণ ছড়চ্ছে, তা নিয়ে আমরা সবাই চিন্তিত।" এরপরেই আরও একবার টিকাকরণ নিয়ে সোনিয়া গান্ধী বলেন, "সরকার আবারও ভ্যাকসিনেশনের বয়সসীমার বিষয়টিকে পুনর্বিবেচনা করুক। পাশাপাশি যাঁদের অ্যাজমা, ডায়বেটিস, কিডনি ও লিভারের সমস্যা রয়েছে এমন সববয়সীদেরই করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হোক।"