করোনা (Corona) অতিমারীর কারণে বেশ ব্যহত হয়েছে জীবনযাত্রা। বিশ্বের সমস্ত দেশের জনগনের জীবনযাপনের মানচিত্রের বদল ঘটেছে। করোনা অতিমারী প্রথম ভারতে প্রবেশ করেছিল বিমানে আসা যাত্রীদের মাধ্যমে। ফলে যাত্রীবাহী বিমানের (passenger flight) ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। পরবর্তীতে অবশ্য করোনার প্রভাব হ্রাস পাওয়ায় স্বাভাবিক হয়েছিল বিমান (flight) চলাচল। কিন্তু করোনা ভাইরাসের বৈকল্পিক ওমিক্রন (omicron) নিয়ে পুনরায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। ফলে আবার বন্ধ করা হলো বাণিজ্যিক আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমান।
সিভিল এভিয়েশন (Civil Aviation DGCA) -এর ডিরেক্টরেট জেনারেল বাণিজ্যিক আন্তর্জাতিক যাত্রীবাহী বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা 31 জানুয়ারী পর্যন্ত বাড়িয়েছে। তিনি 1 লা ডিসেম্বরে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আন্তর্জাতিক বিমানগুলি পুনরায় চালু না করার। এখানকার নিয়ন্ত্রক (regulator) বৃহস্পতিবার একটি সার্কুলার প্রকাশ করেছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, " কর্তৃপক্ষ 31শে জানুয়ারী, 2022-এর 2359 ঘন্টা পর্যন্ত ভারতে এবং ভারত থেকে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক যাত্রী পরিষেবা স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।"
করোনার ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে গত 23 শে মার্চ, 2020 থেকে আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তবে 2020 সালের মে মাস থেকে বিশেষ আন্তর্জাতিক বিমান এবং 2020 সালের জুলাই মাস থেকে করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে 23 মার্চ, 2020 থেকে ভারতে নির্ধারিত আন্তর্জাতিক যাত্রী পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে। তবে 2020 সালের মে মাস থেকে বিশেষ আন্তর্জাতিক বিমান এবং 2020 সালের জুলাই মাস থেকে 'বন্দে ভারত মিশন'-এর আওতায় (Vande Bharat Mission) নির্বাচিত দেশগুলির সাথে দ্বিপাক্ষিক 'এয়ার বাবল' (air bubble) ব্যবস্থার অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। ভারত মোট 32 টি দেশের সাথে এই 'এয়ার বাবল' (air bubble) চুক্তি তৈরি হয়েছে। দেশগুলির মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব যুক্তরাজ্য, ভুটান, কেনিয়া, ফ্রান্স সহ বিভিন্ন দেশ।এই 'এয়ার বাবল' (air bubble) চুক্তির অধীনে দুটি দেশের মধ্যে বিশেষ আন্তর্জাতিক বিমানগুলি একমাত্র সেই দুই দেশের এয়ারলাইনগুলি দ্বারা পরিচালিত হতে পারে, অন্য কোনোভাবে পরিচালিত হবে না।