দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ইজরায়েলের প্রশংসা করে শনিবার ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে কয়েক দশকের পুরনো সম্পর্কের কথা তুলে ধরে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণের বার্তা দিয়েছেন। আসলে ভারত ও ইজরায়েলের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তিনি একটি বিশেষ ভিডিও বার্তা দিয়েছেন। সেই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেছেন, "আমাদের দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের ইতিহাস অনেক পুরনো। ভারত এবং ইজরায়েলের মানুষের মধ্যে কয়েক শতাব্দী ধরে মজবুত সম্পর্ক বজায় রয়েছে।"
প্রধানমন্ত্রী মোদি আরও বলেছেন, "বর্তমান সময়টা উভয় দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়টা ভারত ইজরায়েল সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে নতুন লক্ষ্য নির্ধারণের জন্য সবচেয়ে ভালো সময়। আজ যখন বিশ্ব গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তখন ভারত ইজরায়েল সম্পর্কের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাচ্ছে। আমি সম্পুর্ন আত্মবিশ্বাসী যে আগামী দিনে এই দুই দেশের বন্ধুত্ব, পারস্পরিক সহযোগিতার নতুন মাইলফলক প্রতিষ্ঠা করবে।" অন্যদিকে চলতি সপ্তাহের শুরুতে ভারতে ইজরায়েলের দূত নাওর গিলন বলেছিলেন, "দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ তম বার্ষিকী সামনের দিকে তাকানোর এবং পরবর্তী ৩০ বছরের সম্পর্ককে বৃহত্তর আকার দেওয়ার একটি ভালো সুযোগ।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত। কিন্তু তখন দুই দেশের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়নি। পরে ১৯৯২ সালের ২৯ জানুয়ারি দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বহুমুখী কৌশলগত অংশীদারিত্ব বিকশিত হয়। তখন থেকেই হিসাব করে দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৩০ বছর পূর্ণ হল। এই উপলক্ষে শনিবার জাতীয় রাজধানীর তিন মূর্তি হাইফা চক ভারতীয় ও ইজরায়েলী রঙে আলোকিত করা হয়।
তবে এরমধ্যেই পেগাসাস স্পাইওয়ার কাণ্ড নিয়ে নতুন তথ্য সামনে এসেছে যা নিয়ে জাতীয় রাজনীতিতে শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধীদের ফোনে আড়িপাতার অভিযোগে বিধানসভা নির্বাচনের সময় পেগাসাস কাণ্ড নিয়ে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের কোনো প্রতিনিধি নন, বরং স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৭ সালে ইজরায়েলে গিয়ে এই পেগাসাস কেনার জন্য ২০০ কোটি ডলারের চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন। এই খবর সামনে আসার পর থেকেই মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।