বিগত বছরের তুলনায় এ বছর ভারতে মিলিনিয়ারের (সম্পত্তি ৩০ মিলিয়ন ডলার বা ২২৬ কোটি টাকার বেশি) সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ। বিশ্ব বিখ্যাত ফিন্যান্স এক্সপার্ট নাইট ফ্রাঙ্কের মতে ভারতের ইকুইটি মার্কেটে বুম এসেছে এবং অনেক মানুষই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করেছেন। বর্তমানে সর্বাধিক বিলিয়নিয়ারওয়ালা দেশের তালিকায় ভারত তৃতীয় স্থানে। ফ্রাঙ্ক আরো জানান ২০২০-২১ অর্থবর্ষে এই বৃদ্ধি ছিল ৯.৩ শতাংশ। এই অর্থবর্ষে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১১ শতাংশ।
সমগ্র বিশ্বে এত বৃদ্ধি অন্য কোন দেশে হয়নি। ভারতের শহর গুলির নিরিখে দেখতে গেলে ব্যাঙ্গালোর এবং দিল্লিতে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাঙ্গালোরে বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ এবং দিল্লিতে প্রায় ১২ শতাংশ। ফ্রাঙ্ক মনে করেন ২০২৬ সালের মধ্যে এই বৃদ্ধি ৩৯ শতাংশ ছুঁয়ে যেতে পারে। এই বৃদ্ধি দেখে নাইট ফ্রাঙ্ক বলেন, "ভারতে কোটিপতিদের সংখ্যা বৃদ্ধি হওয়ার মূল কারণ হল ইকুইটি মার্কেট এবং ডিজিটাল কারেন্সিতে ইনভেস্ট করা। তারা সঠিক জায়গায় বিনিয়োগ করেছিলেন। এরকম চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই ভারত এশিয়া তথা বিশ্বের অর্থনীতির অন্যতম স্তম্ভ হয়ে দাঁড়াবে"।
এই রিপোর্টে আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ জিনিস লক্ষ্য করা গেছে। ভারতের বিলিয়নিয়ারদের ৭০ শতাংশই এশিয়ার বিলিয়নিয়ারদের প্রথম ১০ শতাংশের আওতায় পড়েন। ভারতে নিজের ক্ষমতায় তৈরি হওয়া বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা প্রায় ৪০ শতাংশের আশেপাশে। ফ্রাঙ্ক জানান এই সংখ্যা বিগত বছরগুলোর তুলনায় ক্রমাগত বাড়তেই থাকছে। বিগত পাঁচ বছরের হিসেব অনুযায়ী দিল্লিতে বিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বেড়েছে ১০১ শতাংশ। মুম্বাইতে ৪২ শতাংশ, ২২ ব্যাঙ্গালোরে শতাংশ। এই শহর গুলির মধ্যে সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে ব্যাঙ্গালোরের মধ্যে, যেখানে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বিলিয়নিয়ারদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে পারে ৪৭ শতাংশ।