বিজেপির অন্দরে গত ৭ বছরের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরতে বলা হয়েছে। আগামী কয়েকটি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নাকি এমন নির্দেশ দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। কিন্তু পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জনস্বাস্থ্য (PublicHealth), সর্বজনীন শিক্ষা, বেকারত্ব (Unemployment), শিশুদের অপুষ্টি দূরীকরণ, অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলিতে ক্রমশ দেশের অবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এমনকী ৪ প্রতিবেশি দেশ বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল ও ভুটানের মতো ছোট দেশ গুলির তুলনায় ভারতের অবস্থান ক্রমশ নিম্নমুখী বলে দাবি করা হচ্ছে।
২০১৫ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জ বিভিন্ন দেশের স্থায়ী উন্নতির কয়েকটি সূচক হাতে নিয়েছিল। যে সূচক গুলি থেকে সেই দেশের সার্বিক মানবোন্নয়ন বিষয়টির উপর গুরুত্ব আরোপ করার কথা বলা হয়েছিল। সেই মোতাবেক ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বে যাতে শান্তি ও সার্বিক সমৃদ্ধি আসে তার জন্য ১৭ টি উন্নয়ন সূচক গোল নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছিল। এই ১৭ টি সূচকের অন্যতম ছিল দারিদ্র দূরীকরণ। পাশাপাশি খাদ্য সুরক্ষা, জনস্বাস্থ্য, সর্বজনীন শিক্ষা ও লিঙ্গবৈষম্য রোধের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছিল।
সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জ থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারতে শিশুদের অপুষ্টি রোধে চূড়ান্ত ব্যর্থতা। পাশাপাশি অন্যান্য সূচক গুলিতে প্রতিবেশি দেশ গুলির তুলনায় ক্রমশ নিম্নমুখী ভারত। গত কয়েক বছরে যার ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। গত কয়েক দিন আগে দেশের সার্বিক শান্তির চিত্র বাংলাদেশের তুলনায় পিছিয়ে বলে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। এবার খাদ্য সুরক্ষা ও জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় পাশের প্রতিবেশি দেশ গুলির থেকেও পিছিয়ে পড়েছে।
মোদী সরকারের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক তথ্যের অধিকার আইনে জানিয়েছে, গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ৯ লক্ষ ২৭ হাজার শিশুর ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভোগার চিত্র। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে যে চিত্র লাগামছাড়া। এমনকী কোভিড পরিস্থিতিতে গোটা দেশের বেহাল স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চিত্রও সামনে এসেছে। সব মিলিয়ে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি হয়ে ওঠা ভারত যে ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে, সে কথা মেনে নিচ্ছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।