ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে করা পাকিস্তান-সহ অন্যান্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলির আন্তঃসরকারী সংস্থা, অর্গানাইজেশন অফ ইসলামিক কো-অপারেশনের (OIC) মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করল ভারত।
সম্প্রতি উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বারে এক ধর্মসভায় হিংসাত্মক বার্তা ছড়িয়েছিল একটি হিন্দু সংগঠন। সেখানে ‘মুসলিম গনহত্যা’রও ডাক দেওয়া হয়। যা নিয়ে তীব্র নিন্দা ছড়ায় সবমহলে। শুরু হয় পুলিশি তদন্ত। গ্রেফতার করা হয় হিংসাত্মক বার্তা ছড়ানো ব্যক্তিকে। তবে এবিষয়ে বাইরের দেশের নাক গলানোকে ভালো চোখে দেখছে না ভারত।
ওআইসি’র মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া জবাব দিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রক (Foreign ministry) জানিয়েছে, ভারতের আভ্যন্তরীণ বিষয় সেখাকার সাংবিধানিক অবকাঠামো এবং নিয়ম মেনেই বিবেচনা এবং সমাধান করা হবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (MEA) তরফে জেদ্দা-সদর দফতরের সংস্থা, ইসলামিক রাষ্ট্রসংঘকে একহাত নিয়ে বলেছে, ‘ওআইসি সচিবালয়ের সাম্প্রদায়িক মানসিকতা বাস্তবতাগুলিকে যথাযত উপলব্ধি করতে দেয় না। ওআইসি ভারতের বিরুদ্ধে তাদের ঘৃণ্য প্রচারণাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে স্বার্থান্বেষী ব্যক্তিদের দ্বারা ‘হাইজ্যাক’ করা অব্যাহত রেখেছে’। ভারতের বক্তব্য, ‘এসব করে, নিজেদেরই সম্মানহানি করছে ইসলামিক রাষ্ট্রসংঘ’।
ওআইসি’র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে ভারত আরও জানিয়েছে, এটাই তাদের প্রথমবারের জন্য ভারতের বিরুদ্ধে করা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং স্বার্থান্বেষী মন্তব্য নয়। উল্লেখ্য, ৫৭ টি ইসলামিক রাষ্ট্রের সংঘ ওআইসি এর আগে কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক (Hijab controversy) নিয়েও নিজেদের ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করেছে। জাতিসংঘের কাছে তারা দাবী করেছে, ভারতীয় মুসলিমদের মানবাধিকার অবক্ষুন্ন হচ্ছে। সেবিষয়ে জাতিসংঘকে হস্তক্ষেপ করারও আর্জি জানায় তারা। তার বিরোধিতা করেই এবার মুখ খুলল ভারত।