বৃহস্পতিবার ফের মাদ্রাজ হাইকোর্ট কেন্দ্রকে ভর্ৎসনা করল। আদালত কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে বিদ্রূপ করে বলেছে গত ১৪ মাস ধরে কেন্দ্র সরকার কোভিড পরিস্থিতির দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে কি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি? এমনকি বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে কি কোন পরামর্শ নেয়নি কেন্দ্র সরকার? উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন আগে মাদ্রাজ হাইকোর্ট কেন্দ্রকে তীব্র ভর্ৎসনা করেছিল। আদালতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "কমিশনের অফিসারদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা উচিত।" বৃহস্পতিবার ফের মাদ্রাজ হাইকোর্ট কেন্দ্রকে নিশানা করে জানতে চাইল গত ১৪ মাস ধরে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে কেন্দ্র সরকার কি কি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল আর শঙ্করনারায়ণ জানান যে বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এর উত্তরে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "তাহলে গত ১৪ মাস কেন্দ্র তাহলে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় কি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি?" প্রধান বিচারপতির এই কথায় উত্তর আসে, "করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অপ্রত্যাশিত ছিল।" এই কথার পরে তীব্র ভর্ৎসনা করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট।

সরকারের পক্ষ থেকে আদালতে জানানো হয় নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগে ১ মে থেকে সম্পূর্ণ লকডাউন হতে পারে। যদিও ১ মে শ্রমিক দিবস থাকায় তা বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। সে তুলনায় সাধারন মানুষ কোভিডের বিধিনিষেধ মানছেন কিনা সে বিষয়ে সরকারকে কঠোর হতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তার পাশাপাশি ভোট গণনার সময় কমিশনের লোকজন এবং সংবাদমাধ্যমের কাছে বার্তা দেওয়া হয়েছে যেন কোন বাড়তি জমায়েত না হয়। ফল ঘোষণার পর রাজনৈতিক দলগুলি কোন প্রকার বিজয় মিছিল না করে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলেছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট।