কুম্ভমেলা শুরুর প্রথমদিন থেকেই যখন সতর্কবার্তা ছড়িয়েছে সর্বত্র, এমনকি কুম্ভ ফেরত যাত্রীদের মহারাষ্ট্রে ঢুকতে বাঁধা দিয়েছিলেন শিবসেনা, সেই সময় কেন্দ্রের তরফে আঁচ আসেনি কিছুই। তবে অবশেষে কুম্ভমেলায় লাগামছাড়া করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর অবশেষে হুঁশ ফিরল কেন্দ্রের। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পর অবশেষে জনসমাগমের ভীড় বন্ধ করার ব্যবস্থা নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। খবর, দ্বিতীয় শাহি স্নান হওয়ার পর করোনার বিরুদ্ধে ‘লড়াইয়ের’ জন্য এবার 'প্রতীকী' কুম্ভমেলা করার আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি জুনা আখড়ার স্বামী অভদেশ্যানন্দ গিরির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তাঁর কাছেই সন্ন্যাসীদের স্বাস্থ্যের বিষয়েও খোঁজখবর নেন তিনি। কিন্তু করোনার বাড়বাড়ন্ত রুখতেই তিনি বলেন, 'সকল সন্ন্যাসী প্রশাসনের সঙ্গে সবরকমের সহযোগিতা করছেন। সেজন্য ‘সন্ন্যাসী দুনিয়াকে’ ধন্যবাদ। তবে আমি আর্জি জানাচ্ছি যে, দুটি শাহি স্নান হয়ে গিয়েছে এবং করোনা সংকটের জন্য কুম্ভকে প্রতীকী রাখা হোক। যা সংকটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষেত্রে শক্তি জোগাবে।' অর্থাৎ যেহেতু দু'বার শাহি স্নান সম্পন্ন করেছেন তীর্থযাত্রীরা। তাই এরপরেই ধর্মীয় অনুষ্ঠান গুলি মন্দিরে নয়, বরং নিজের বাড়িতেই ভার্চুয়ালি পালন করার আর্জি মোদীর।
মোদীর এই আর্জিতেই সাড়া দিয়েছেন স্বামী অভদেশ্যানন্দ। ট্যুইটারে তিনি বলেন, "মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে আহ্বান জানিয়েছেন, তা আমরা সম্মান করি। ধর্মপ্রাণ জনতার প্রতি আর্জি যে করোনা পরিস্থিতিতে বড় সংখ্যায় তাঁরা যেন শাহি স্নানে না আসেন এবং নিয়মবিধি মেনে চলেন।"