জনগোষ্ঠী সমন্নয় পরিষদ,আসাম (জেএসপিএ, JSPA) এদিন বৃহস্পতিবার অসমের সমস্ত মুসলমানদের নিবন্ধিত করার জন্য একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করেছে। যেখানে মুসলিম আদিবাসী, বাংলা বংশোদ্ভূত বা বাংলাভাষীদের নাম নিবন্ধিত করা হবে। সূত্রের খবর, এই নিবন্ধিত করার ফলে তিনটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা হবে মুসলিমদের। গরিয়া, যাঁরা বিভিন্ন আদিবাসী গোষ্ঠী ও উপজাতি থেকে আগত। পরের শ্রেণি হল, মরিয়া অর্থাৎ যাদের পূর্বপুরুষরা আহোম রাজারা অস্ত্র ও বাসন তৈরি করতেন এবং শেষের শ্রেনি হল, দেশী অর্থাৎ যারা কোচ-রাজবংশী সম্প্রদায়ের।
তবে কেন এমন নিবন্ধকরণ? জানা যাচ্ছে, ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে আসামের জনসংখ্যার ৩৪.২২% মুসলিম রয়েছে। এদিকে জেএসপিএ দাবি করেছে, আসামে প্রায় ১.৪ কোটি মুসলমান রয়েছে, যার মধ্যে ৪০ লক্ষ আদিবাসী মুসলমান। এ বিষয়ে আসাম জনগোষ্ঠী সমন্নয় পরিষদের এক কর্মকর্তা বলেন, "এই আদমশুমারিটি জরুরি ছিল কারণ কিছু আদিবাসী মুসলমান আসামে বসবাসকারী সকল মুসলমানকে এক ছাতার আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। আমাদের ধর্ম এবং নাম একই হতে পারে তবে আদিম মুসলমানদের একটি পৃথক পরিচয় রয়েছে, যা আহোম ও কোচ রাজাদের প্রদত্ত"। তবে মনে করা হচ্ছে, এনআরসি-র সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবেই এই আদমশুমারির ব্যবস্থা।
কাজেই এই দ্বন্দ্ব মেটাতে নয়া আদমশুমারির ঘোষনা। সূত্রে খবর, এই পুরো প্রক্রিয়াটি তিন মাস ধরে চলবে। কী ভাবে আবেদন করা যাবে? খবর, এই পোর্টালে নথির একটি তালিকা রয়েছে, যা আবেদনকারীদের নিবন্ধনের জন্য আপলোড করতে হবে। যার মধ্যে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড এবং প্রতিটি পরিবারের সদস্যের প্যান কার্ড (অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়), গ্রাম প্রধান, পৌরসভা বোর্ড, নগর কমিটি বা অন্য কোনও উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের একটি শংসাপত্র তালিকাভুক্ত করতে হবে।