করোনা ভাইরাসের নতুন মিউটেশন ওমিক্রন এখন গোটা বিশ্বে খবরের শিরোনামে রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এই স্ট্রেনের প্রথম দেখা মিললেও, সম্প্রতি তা হংকং, ইজরায়েল, ব্রিটেন ইত্যাদি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা WHO ইতিমধ্যেই এই ওমিক্রন ভেরিয়েন্টকে উদ্বেগের কারণ বলে চিহ্নিত করেছে। তাঁদের মতে এই ওমিক্রন ভেরিয়েন্টে মোট ৩২ টি মিউটেশন আছে যা এটিকে অধিক সংক্রামক এবং ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। WHO এর এই ঘোষণার পর থেকে রীতিমত ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে গোটা বিশ্বজুড়ে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ওমিক্রনের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে যাওয়া যাত্রীদের ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে এই নয়া ভেরিয়েন্ট সম্বন্ধে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেছেন সাউথ আফ্রিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অ্যাঞ্জেলিকিউ কোয়েটজি।
গতকাল শনিবার অ্যাঞ্জেলিকিউ কোয়েটজি জানিয়েছেন, "এই ওমিক্রন দ্বারা আক্রান্ত হলে মৃদু শরীর খারাপ হতে পারে। এতে আক্রান্ত হলে দুদিনের জন্য শরীরে ক্লান্তি এবং শরীরের পেশিতে ব্যাথা হতে পারে। সেইসাথে হালকা সর্দি হলেও স্বাদ বা গন্ধ পাওয়া যাবে। এটি অবশ্যই ছোঁয়াচে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এই ভেরিয়েন্টের যে ভয়ংকরতার কথা বলা হয়েছে তা যথেষ্ট বিবেচনার বিষয়।" এছাড়াও জানা গিয়েছে যে এখনো অব্দি টিকাকরণ হওয়া কোনো ব্যক্তির শরীরে এই ভেরিয়েন্ট দেখা যায়নি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট উদ্বেগের কারণ হিসাবে ঘোষণা করার পরই ব্রিটেনসহ ইউরোপের একাধিক দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আন্তর্জাতিক বিমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এই নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা করেছেন সাউথ আফ্রিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান অ্যাঞ্জেলিকিউ কোয়েটজি। এছাড়াও দক্ষিণ আফ্রিকার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডো ফাহলা বিমান নিষেধাজ্ঞকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেছেন, "এই পদক্ষেপ পুরোপুরি অযৌক্তিক এবং প্রতিক্রিয়াশীল। এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশিকা নিয়ম এবং মানদণ্ডের পরিপন্থী। এই জাতীয় পদক্ষেপ মানুষকে আরো ভীতসন্ত্রস্ত করে তুলবে।"