আটবছর আগে রাজধানীর বুকে ঘটে যাওয়া নির্ভয়া কান্ডের ভয়াবহ স্মৃতি এখনও সকলের মনে দগদগে ঘা এর মতো জীবন্ত। ফের একবার চরম নৃশংসতার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। দুসপ্তাহ আগে উচ্চবর্ণের চার যুবক ১৯ বছরের এক দলিত যুবতীকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ক্ষেতের ধারে গণধর্ষণ এবং নৃশংস অত্যাচার করে। প্রথমে ওই নির্যাতিতা তরুণীকে জওহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও পরে তাকে দিল্লী তে স্থানান্তরিত করা হয়।
দীর্ঘ পনেরো দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর মঙ্গলবার ভোররাতে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যু হয় গণধর্ষিতা ওই তরুণীর। সেদিনরাতেই হাসপাতাল থেকে বাড়িতে এসে পৌঁছায় নির্যাতিতার দেহ। ঘড়ির কাঁটায় রাত আড়াইটে। পরিবারের কথা না শুনেই তড়িঘড়ি দেহ আসার কিছুক্ষনের মধ্যেই দাহ করে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। এই নিয়ে উঠছে বহু প্রশ্ন। ওই তরুণীর মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে দেওয়া হয় এবং এতটাই পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় যে তার সারা শরীরে প্যারালাইসিস হয়ে যায়।
গণধর্ষণ কান্ডের তদন্তের জন্য স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট গঠন করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সেই সঙ্গে এই মামলার শুনানি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে হবে বলে জানিয়েছেন। এদিন বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন আদিত্যনাথ এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা এবং পরিবারের একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন।