দীর্ঘ ১৫দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষছিল মেয়েটি৷ অবশেষে হার হল৷ দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে মারা গেল গণধর্ষণের শিকার ১৯ বছরের দলিত তরুণী৷ ঘটনা উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের৷ ১৪ সেপ্টেম্বর মায়ের সঙ্গে ঘাস কাটতে গিয়েছিল সে৷ আচমকা তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে চার দুর্বৃত্ত৷ সকলেই তার পরিচিত, গ্রামের প্রতিবেশী৷ কানে ভাল শুনতে পান না মা, ঘাস কাটছিলেন খানিকটা দূরে৷ মেয়েকে যে নরপিশাচগুলি টেনে নিয়ে গেল, বুঝতে পারেননি, শুনতে পাননি তার চিৎকার৷
গণধর্ষণের পর উচ্চবর্ণের ওই চার নরপশু জিভ কেটে দেয় মেয়েটির৷ প্রচণ্ড আঘাত লাগে তার মেরুদণ্ডে৷ ওড়নার ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করারও চেষ্টা হলেও মেয়েটি মরেনি৷ প্রথমে জেলা হাসপাতাল, পরে আলিগড় ও শেষে দিল্লির সফদরজঙ্গ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে৷ এরই মধ্যে ২৩ সেপ্ঢেম্বর কিছুক্ষণের জন্য জ্ঞান ফিরলে মেয়েটি ধর্ষণকারীদের নাম বলে পুলিশকে৷ গ্রেপ্তার হয় দুর্বৃত্তরা৷ জানা গেছে, প্রধান অভিযুক্ত মদ্যপ সন্দীপ আশপাশের দলিত মানুষের সঙ্গে নিয়মিত দুর্ব্যবহার করে৷ এই তরুণীর পরিবারের সঙ্গেও এর আগে ঝামেলায় জড়িয়েছিল সে৷
গোটা দেশ জুড়েই নারী নির্যাতন, ধর্ষণের নৃশংস ঘটনা ঘটে চলেছে৷ উত্তরপ্রদেশ এ ব্যাপারে শীর্ষে৷ সেখানকার বিজেপি সরকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ বলে শোরগোল তুলেছেন বিরোধীরা৷