এক লিটার ছাগলের দুধের দাম পড়ে গড়ে ৫০ টাকা প্রতি লিটার। তবে গত একমাসে উত্তর প্রদেশের ফিরোজাদাবাদে সেই ছাগলের দুধের দামই ৩০ গুন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৫০০ টাকা প্রতি লিটার। অস্বাভাবিক এই মূল্যবৃদ্ধির পিছনে কারণটিও যথেষ্ট বিচিত্র। ডেঙ্গুর উপকেন্দ্র ফিরোজাদাবাদে আগুনের মতো একটি ভ্রান্ত ধারনা ছড়িয়ে পড়েছে – ছাগলের দুধ খেলে নাকি বাড়ে অণুচক্রিকা সংখ্যা(platelet count)। যার জেরেই এখন সেখানে আকাশছোঁয়া দামে বিকোচ্ছে ছাগলের দুধ।
এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক চাওয়ালার (যিনি এখন দুধ বেচেন) বক্তব্য, আগে ছাগলের দুধ ৫০ টাকা লিটারপ্রতি বিক্রি হত। এখন চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে দুধের দামও বাড়তে বাড়তে পৌঁছেছে ১,৫০০ টাকায়। তাঁর দাবী, বানিজ্যিকভাবে ছাগলের দুধ উৎপাদন হয় না বলেই তার এত দাম।
বেশি দাম দিয়ে ছাগলের দুধ কেনার এই হিড়িকের মাঝেই এক ক্রেতার কথায়, এক আয়ুর্বেদিক অনুশীলনকারী তাঁকে বলেছেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ছাগলের দুধের জুড়ি মেলা ভার। তাই বাজারে খোঁজ করতে এসে তিনি দেখছেন, ৫০ এর দুধ এখন পৌঁছেছে ১,৫০০ এ। তাঁর বক্তব্য, এত টাকা দিয়েও কখনও কখনও মিলছে না ‘মহামূল্যবান’ ছাগলের দুধ। এতই তার চাহিদা!
তবে ছাগলের দুধে অধিক পুষ্টির তত্ত্ব খারিজ করেছেন খোদ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের সহ আধিকারিক। তাঁর কথায়, গরু এবং ছাগলের দুধের পুষ্টিমাত্রা প্রায় সমান। ছাগলের দুধে যে রক্তে অণুচক্রিকা সংখ্যা বৃদ্ধি পায় তারও কোনও বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই। হাতুড়ে চিকিৎসকেরা এরকম ভ্রান্ত ধারনা মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, ডেঙ্গু হলে আসল চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন। ডেঙ্গু এড়াতে মশার হাত থেকে বেঁচে চলারও পরামর্শ দেন তিনি।
তবে এর মাঝে হাতুড়ে চিকিৎসকেরা শুধু ছাগলের দুধেই থেমে নেই। ডেঙ্গু সারাতে নারকেলের জল, কিউয়ি, পেঁপে পাতা ইত্যাদি ‘মহৌষধি’-রো নিদান দিয়ে চলেছেন তাঁরা।